রাজধানীর বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে লাগা আগুনে এখন পর্যন্ত নারী, পুরুষ ও শিশুসহ ৪৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে রয়েছেন ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাতী শাখার শিক্ষিকা লুৎফুন নাহার লাকি (৪৭) ও তার মেয়ে ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জান্নাতি তাজরিন (২৩)।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে স্ত্রী ও মেয়ের মরদেহ শনাক্ত করেন এম. এ. এইচ গোলাম মহিউদ্দিন।
তিনি জানান, তার স্ত্রী দাঁতের ব্যথায় ভুগছিলেন। দাঁত দেখাতে হাসপাতালে যান মেয়েকে নিয়ে। ফেরার পথে কাচ্চি খেয়ে আসার পরামর্শ দেন মহিউদ্দিনই। এখন স্ত্রী-মেয়ের মৃত্যুর জন্য তিনি নিজেকে অপরাধী মনে করছেন।
কলাবাগান থানার উপপরিদর্শক (এএসআই) গোলাম হোসেন বলেন, নিহতদের স্বজনেরা যাদের শনাক্ত করেছেন আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের মরদেহ হস্তান্তর করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে রেস্টুরেন্টটিতে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। পরে ৯টা ৫৬ মিনিটের দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট। পরবর্তীতে ইউনিট বাড়ার পাশাপাশি আগুন নিয়ন্ত্রণে ৩ প্লাটুন সাধারণ আনসার ছাড়াও বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ১ প্লাটুন আনসার গার্ড ব্যাটালিয়ন (এজিবি) সদস্য মোতায়েন করা হয়।
তারা ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণ ও আটকে পড়া ব্যক্তিদের উদ্ধার করতে কাজ করে। এছাড়াও উদ্ধার কার্যক্রমে যোগ দেয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরাও। একপর্যায়ে ১৩ ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে নিয়ন্ত্রণে আসে। রাত সোয়া ১টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে এক ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, এ ঘটনায় ৭৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।