‘পোহালো পোহালো বিভাবরী’ রবীন্দ্রসংগীতের ত্রিতালের সুর দিয়ে শুরু হয় সাংস্কৃতিক চর্চাকেন্দ্র ছায়ানটের শরতের অনুষ্ঠান। এই গানের ‘নাচে তরঙ্গ তরী অতি চঞ্চল’ বাক্যের মতোই যেন এখন ঋতুচক্রের মন চঞ্চল। কেননা, এখন চলছে আশ্বিনের বৃষ্টি।
আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর লালমাটিয়ায় ছায়ানট মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে অংশ নেন ছায়ানটের শিল্পীরা।
সম্মেলক গানটি পরিবেশনার পরই আসে ঘুম ভাঙানোর আহ্বান সংগীত। পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা ‘জাগো জাগো প্রিয় রজনী পোহায়’ গানটি করেন সুস্মিতা দেবনাথ শুচি।
পরে কখনো সম্মেলক, কখনো দলীয় পরিবেশনার মধ্য দিয়ে পরিবেশিত হয় ১৭টি গান, কবিতা, নৃত্য।
সুবীর সরকার ও গৌতম সরকারের তবলার তাল ঘুরেফিরে শ্রোতাদের কখনো আনন্দে, কখনো মৌনতায় মগ্ন করে। আবার মো. মনিরুজ্জামানের বাঁশির সুর নিমগ্ন করে শ্রোতার হৃদয়।
‘সারা বেলা হেলাফেলা’ গানটি পরিবেশন করে সঞ্চারী অধিকারী। এরপরই সংহতি ঘোষ ‘শরতে আজ কোন অতিথি’ পরিবেশন করে যেন আগের গানটির উত্তর দিয়ে যান। শরতের সকালে দাদরা আর তেওড়া তালের এই দুই সংগীতে মন্ত্রমুগ্ধ হন শ্রোতারা।
অনুষ্ঠানের শেষ দিকে নজরুল সংগীতের ‘শিউলি ফুলের মালা দোলে’ গানটির সুর বাজতেই বোঝা গেল, সংগীত আর প্রকৃতি অবিচ্ছিন্ন। কেননা, এখন শরতের শিউলির ঘ্রাণ বনে বনে।
শেষ দিকে কিশোর শিল্পী সায়ন ভৌমিক ‘মেঘের কোলে রোদ হেসেছে’ পাঠ করেন। পরে এই গানের সঙ্গে পরিবেশন করা হয় নৃত্য। সম্মিলিতভাবে শিল্পীরা মঞ্চে আসেন সাদা ও নীল রং মেশানো পোশাকে। যেন নেমে আসে শরতের আকাশের খানিকটা অংশ।
রবীন্দ্রসংগীত, নজরুলসংগীতের পাশাপাশি অনুষ্ঠানে গাওয়া হয় পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়, অতনু চক্রবর্তীর লেখা শরৎ ও আগমনীর সংগীত। অনুষ্ঠান শেষ হয় সম্মিলিতভাবে জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে।