জয়পুরহাটে বিয়ের কথা বলে ধর্ষণের অভিযোগে এক ব্যাংক কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে জয়পুরহাট শহরের একটি মহল্লার ভাড়া বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকা বাদী হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ওই ব্যাংক কর্মকর্তা (৩৩) জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলায় কর্মরত। তাঁর বাড়ি পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায়। তিনি জয়পুরহাট শহরের একটি মহল্লায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। ভুক্তভোগী নারীর (৩০) বাড়ি পাঁচবিবি উপজেলায়।
জয়পুরহাট সদর থানায় গতকাল সোমবার করা মামলার এজাহারে ওই শিক্ষিকা বলেছেন, তিন বছর আগে ওই ব্যাংক কর্মকর্তার সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তাঁর পরিচয় হয়। আগের স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও ব্যাংক কর্মকর্তা নিজেকে অবিবাহিত বলে পরিচয় দেন। এরপর তাঁর সঙ্গে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে তাঁরা দুজন বিভিন্ন স্থানে সময় কাটাতেন। প্রায় আট মাস আগে থেকে ওই ব্যাংক কর্মকর্তা তাঁকে বিয়ের কথা বলে ভাড়া বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করে আসছিলেন। সবশেষ গত ১৪ মার্চ রাতে ভাড়া বাসায় নিয়ে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে আবারও তাঁকে ধর্ষণ করেন। তবে বিয়ের কথা বললে তালবাহানা শুরু করেন। পরে তিনি খোঁজ নিয়ে দেখেন, ওই ব্যাংক কর্মকর্তার স্ত্রী রয়েছেন। ওই কর্মকর্তা তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। বিয়ের কথা বললে হত্যার হুমকি দিচ্ছেন।
জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম আজ মঙ্গলবার সকালে বলেন, বিয়ের কথা বলে স্কুলশিক্ষিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় ব্যাংক কর্মকর্তাকে তাঁর ভাড়া বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ তাকে আদালতে পাঠানো হবে।