বিশ্বের বৃহত্তম তেল রপ্তানিকারক সৌদি আরব ও রাশিয়া সরবরাহ কমানোয় আজ মঙ্গলবার বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়েছে। আগের ক্ষতি পোষানোর জন্য জ্বালানি ব্যবসায়ীরা সরবরাহ কমিয়ে দাম বাড়ানোর এই কৌশল গ্রহণ করে। ডলারের বিনিময় হার হ্রাসের প্রভাবও জ্বালানির দামে পড়েছে। খবর রয়টার্সের।
আজ বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টা ৫৩ মিনিটে ব্রেন্ট ক্রুড ফিউচারের দাম ২৩ সেন্ট বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৭৭ দশমিক ৯২ ডলারে ওঠে। সেই সঙ্গে ইউএস ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ক্রুড ৩২ সেন্ট বেড়ে পৌঁছেছে ৭৩ দশমিক ৩১ ডলারে।
আগস্টে মাসে বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল রপ্তানিকারক দেশ সৌদি আরব ও রাশিয়া সরবরাহ কমাবে—এ খবরে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম বেড়েছে। সেই সঙ্গে ডলারে বিনিময় হার হ্রাস সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। ডলারের বিনিময় হার কমার কারণে আমদানিকারী দেশগুলোয় তেলের চাহিদা বেড়ে যায়।
বিশ্লেষক এডওয়ার্ড ময়া রয়টার্সকে বলেন, বর্তমানে তেলের বাজারে স্থিতিশীল অবস্থা বিরাজ করছে। এই স্থিতিশীলতা বিনষ্টের একটিই কারণ আছে, সেটা হলো, যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতির হার বাড়লে যদি দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ আবারও নীতি সুদহার বৃদ্ধি করে দেশটিকে মন্দার দিকে নিয়ে যায়, তাহলেই কেবল তা হতে পারে।
যদিও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, মূল্যস্ফীতির রাশ টানতে ফেডারেল রিজার্ভ আবারও নীতি সুদহার বাড়াতে পারে; তা সত্ত্বেও অনেক কর্মকর্তা এত দিন যেভাবে বলেছেন অর্থাৎ নীতি সুদহার বৃদ্ধির চক্র শেষ হয়ে আসছে, সেই কথা থেকে বাজার কিছুটা স্বস্তি পেয়েছিল।
এ ছাড়া চীন প্রবৃদ্ধির পালে হাওয়া দিতে আরও অনেক ব্যবস্থা নেবে—এমন আশাও করছেন অনেকে। অর্থাৎ চীনের জ্বালানি চাহিদা বাড়লে তেলের দাম আরও বাড়বে। এই সপ্তাহে বাজারে তেলের চাহিদা পরিমাপ করার জন্য ইউএস কনজ্যুমার প্রাইজ ইনডেক্সের তথ্য ও চীনের অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের দিকে তাকিয়ে আছেন বিনিয়োগকারীরা।
এদিকে সৌদি আরব গত সপ্তাহে বলেছে, দৈনিক ১০ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন হ্রাসের যে সিদ্ধান্ত তারা নিয়েছে, তা অন্তত আগামী আগস্ট মাস পর্যন্ত চালিয়ে নেওয়া হবে। এ ছাড়া রাশিয়া আগামী মাস থেকে দিনে পাঁচ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন হ্রাসের ঘোষণা দেয়।
যদিও অনেক বিশ্লেষক মনে করেন, সৌদি আরব যতই চেষ্টাচরিত্র করুক না কেন, বিশ্ববাজারে তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৮০ ডলারের ওপরে উঠবে না।