রাশিয়া বিশ্বকাপের (২০১৮) আগে বাছাই পর্বে বিপাকে পড়েছিল আর্জেন্টিনা। যেখানে মেসি-ডি মারিয়াদের বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছিল। এবার ২০২৬ বিশ্বকাপের আগে একই পরিস্থিতির সামনে দাঁড়িয়ে ব্রাজিল। বিশ্বকাপ বাছাই ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে সময় পার করছে সেলেসাওরা। ৮ ম্যাচের ৪ টিতেই হারতে হয়েছে ভিনি-রদ্রিগোদের।
পরিসংখ্যান অনুসারে ২০০৩ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ৭১ ম্যাচ খেলে মাত্র ৫টিতে হেরেছিল ব্রাজিল। কিন্তু এবার ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ৮ ম্যাচ খেলেই ৪ হার। এতে ৮ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে তাদের অবস্থান করছে ৫ নম্বরে। ফলে বোঝাই যাচ্ছে কতটা খারাপ সময় পার করছে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা।
সবশেষ ম্যাচে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে হেরেছে ভিনি-রদ্রিগোরা। দলের এমন অবস্থায় সকলেই মনে করছেন দলের সেরা তারকা নেইমার ফিরে আসলে হয়ত সকল দুঃস্বপ্ন কেটে যাবে। কিন্তু এখনই মাঠে ফেরা হচ্ছে না এই ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টারের। কারণ, ইনজুরি থেকে মুক্ত হতে পুনর্বাসনে রয়েছেন তিনি।
যার ফলে আগামী মাসে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দুটি ম্যাচেও পাওয়া যাবে না নেইমারকে। তাই তাকে বাদ দিয়েই আসন্ন দুই ম্যাচের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে কোচ দারিভাল জুনিয়র।
যেখানে দলে ফেরানো হয়েছে বার্সেলোনার হয়ে দুর্দান্ত ছন্দে থাকা রাফিনহা ও আর্সেনাল ফরোয়ার্ড মার্তিনেল্লি। এ ছাড়াও দলে নতুন মুখ হিসেবে রয়েছে দু’জন। তারা হলেন, ফরাসি ক্লাব লিওঁর আবনের এবং অন্যজন বোটাফোগোর ফরোয়ার্ড ইগর জেসুস।
আর দলের আক্রমণভাগে রয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের তিন তারকা ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, রদ্রিগো ও এনদ্রিক।
আগামী ১১ অক্টোবর বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে সকাল ৬টায় ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ চিলি। ব্রাজিল পরের ম্যাচটি খেলবে ১৬ অক্টোবর সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে। সেই ম্যাচে ব্রাজিলের প্রতিপক্ষে পেরু। এই দুই ম্যাচ দিয়ে ব্রাজিল ছন্দে ফিরতে পারে কি না, সেটাই দেখার অপেক্ষা।
ব্রাজিলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের স্কোয়াড
গোলকিপার: অ্যালিসন বেকার, বেন্তো ও এদেরসন।
ডিফেন্ডার: দানিলো, আবনের, ভ্যান্ডারসন, গিলের্মো আরানা, ব্রেমার, এদের মিলিতাও, গাব্রিয়েল মাগলায়েস ও মার্কুইনহোস।
মিডফিল্ডার: আন্দ্রে, ব্রুনো গুইমারেস, গারসন ও লুকাস পাকুয়তা।
ফরোয়ার্ড: রদ্রিগো, এনদ্রিক, লুইস হেনরিক, সাভিনিও, ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, ইগর জেসুস, গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি, রাফিনহা।