উচ্চতা কাজে লাগিয়ে গুড লেন্থ থেকে দারুণ বাউন্স পান শরিফুল ইসলাম। ওই বাউন্স খেলা ব্যাটারদের জন্য দুরূহ হয়ে যায়। কিন্তু লেন্থটা সব সময় ধরে রাখতে পারেন না বাঁ-হাতি এই পেসার। অফ ফর্মের সঙ্গে ইনজুরির কারণে ওয়ানডে দলে জায়গা পাকা কিংবা নিয়মিতহতে পারেননি তিনি।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ম্যাচে ওয়ানডে ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করে তরুণ এই বাঁ-হাতি বুঝিয়ে দিয়েছেন সেরাটা দিতে পারলে তিনি কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারেন। উইকেটে একটু ঘাস থাকলে, উইকেট একটু সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিলে তার কার্যকারিতা আরও বাড়তে পারে।
ওই পরিকল্পনায় এবং অ্যাওয়ে সিরিজের রেকর্ডের কারণে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৯ ওভারে ২১ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেওয়া শরিফুল ভারতে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপের টিকিট সম্ভবত হাতে পেয়ে গেছেন। বাঁ-হাতি পেসারের দায়িত্ব এখন নিজেকে ফিট রাখা, পরিশ্রম করে লেন্থ ঠিক করা এবং এশিয়া কাপে জায়গা পেলে তা কাজে লাগানো।
এমনিতে বাংলাদেশ দলের পেস আক্রমণটা এখন লম্বা। ভালোও করছেন সকলে। ফিট থাকলে তাসকিন-মুস্তাফিজ দলে ‘অটো চয়েজ’। হাসান মাহমুদের জায়গা নিয়েও প্রশ্ন কম। বাংলাদেশ পাঁচ পেসার নিয়ে বিশ্বকাপে গেলে এবাদত হোসেন ও শরিফুল ইসলাম থাকতে পারেন দলের ট্রেনে।
শরিফুলের ওয়ানডের অভিষেক ২০২১ সালের মে’তে। অথচ এই সময়ে তিনি ওয়ানডে খেলেছেন মাত্র ১৭টি। অধিকাংশ সময় বেঞ্চে নয়তো ইনজুরিতে ছিলেন তিনি। চলতি বছর তিনি ওয়ানডে খেলার সুযোগ পেয়েছেন মাত্র তিনটি। তিন ম্যাচে তার উইকেট সাতটি। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ইংল্যান্ডে বল হাতে খুব ভালো করেননি এই পেসার।
ওয়ানডের ১৭ ম্যাচের মধ্যে ১১ ম্যাচ দেশের বাইরে খেলেছেন তিনি। ওয়ানডের ২৬ উইকেটের মধ্যে ওই ১১ ম্যাচে তিনি নিয়েছেন ১৭ উইকেট। এর মধ্যে জিম্বাবুয়ের হারারেতে, দক্ষিণ আফ্রিকার সুপার স্পোর্টস পার্কে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রভিডেন্স পার্কে দুর্দান্ত বোলিং দেখিয়েছেন ‘পঞ্চগড় এক্সপ্রেস’।
আবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মিরপুরে ২০২১ সালের অভিষেক সিরিজে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০২২ সালে হারারেতে এবং আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে চলতি বছর কাউন্ডি গ্রাউন্ডে বাজে বোলিংয়ের প্রদর্শনী দেখিয়েছেন দলের সবচেয়ে লম্বা এই ক্রিকেটার। বিচ্ছিন্ন কিছু ম্যাচ বাদ দিলে শরিফুলের কাঁধে টিম ম্যানেজমেন্ট তাই পেস আক্রমণের ভার দিতেই পারে। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী শরিফুল বিশ্বকাপ দলে থাকলে বোলিং বিভাগেও বৈচিত্রি বাড়বে।