
ভারতের গুজরাটের আহমেদাবাদ বিমানবন্দরের কাছে বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দুপুরে ২৪২ জন আরোহী নিয়ে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় কেউ বেঁচে নেই বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) আহমেদাবাদের নগর পুলিশ কমিশনার জিএস মালিক এ তথ্য জানিয়েছেন।
মার্কিন বার্তাসংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) তিনি বলেন, মনে হচ্ছে বিমান দুর্ঘটনায় কেউ বেঁচে নেই।
তিনি আরও বলেন, অফিসসহ আবাসিক এলাকায় বিমানটি বিধ্বস্ত হলে স্থানীয় মানুষও মারা যেত। হতাহতের সঠিক পরিসংখ্যান নিশ্চিত করা হচ্ছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, এয়ার ইন্ডিয়ার এআই ১৭১ ফ্লাইটটি আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা করেছিল। কিন্তু, উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই বিধ্বস্ত হয়ে যায় বোয়িং ৭৮৭-৮ কুইকজেট সিরিজের ফ্লাইটটি।
বিধ্বস্ত বিমানটিতে ১৬৯ ভারতীয়, ৫৩ জন যুক্তরাজ্যের, একজন কানাডা ও সাতজন পর্তুগালের নাগরিক ছিলেন। বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার আগে পাইলটরা ‘মেডে কল’ নামে একটি জরুরি সংকেত পাঠান, যা সাধারণত বিপদের সময় পাঠানো হয়। কিন্তু এরপর আর তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি বলে জানিয়েছে ভারতের বিমান নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
এদিকে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক্সে তিনি লিখেছেন, আহমেদাবাদের দুর্ঘটনা আমাদের হতবাক করে দিয়েছে, দু:খিত করেছে। এটা কতটা হৃদয়বিদারক, তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। এই দুঃখের মুহূর্তে, বিমান দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত সকলের প্রতি আমি সমবেদনা প্রকাশ করছি। ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার মন্ত্রী এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমি যোগাযোগ করেছি।
গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল বিমান দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন এবং সামাজিক মাধ্যম এক্সে লিখেছেন, আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় আমি মর্মাহত। দুর্ঘটনায় তাৎক্ষণিক উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা চালানোর পাশাপাশি যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আহত যাত্রীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও লিখেছেন, আহত যাত্রীদের হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়ার জন্য গ্রিন করিডরের ব্যবস্থা করা এবং হাসপাতালে চিকিৎসার সমস্ত ব্যবস্থা অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।