রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতদের মধ্যে পরিচয় শনাক্ত হওয়াদের মরদেহ শিগগিরই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এমনটা জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
অন্যদিকে তাৎক্ষণিকভাবে শনাক্ত না হওয়াদের মরদেহ ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করে পরবর্তীতে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলেও জানানো হয়।
সোমবার (২১ জুলাই) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, আহতদের চিকিৎসার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছেন। চিকিৎসা কাজ নির্বিঘ্নে করার স্বার্থে হাসপাতাল এলাকায় অহেতুক ভীড় না করার বিশেষভাবে অনুরোধও করা হয়।
এখন পর্যন্ত বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ১৯ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আর আহত হয়েছেন ১৬৪ জন। ফায়ার সার্ভিস থেকে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
তার মধ্যে বার্ন ইনস্টিটিউটে ২ জন, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ১১ জন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ২ জন, উত্তরার লুবনা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড কার্ডিয়াক সেন্টারে নিহত ২ জন এবং উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বিমান বিধ্বস্তের পর থেকে আহতদের জাতীয় বার্ন ইন্সটিটিউট, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা হাসপাতাল, উত্তরা আধুনিক মেডিকেলসহ হাসপাতালগুলোতে নেয়া হয়েছে। কারও কারও অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। অনেকের শরীর ৫০ শতাংশের বেশি পুড়ে গেছে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির যে ভবনটিতে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে, সেই ভবনে তখন স্কুলের জুনিয়র শিক্ষার্থীদের ক্লাস চলছিল বলে জানা গেছে। স্কুল ছুটির আগ মুহূর্ত বা ছুটি হবে হবে, এইরকম সময়ে এই দুর্ঘটনাটা ঘটেছে। যুদ্ধবিমানটি সরাসরি ভবনে আঘাত করে। ভবনটিতে ১০০-১৫০ শিক্ষার্থী ছিল বলে জানা যাচ্ছে।