থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন। বিশ্বের অন্যতম ধনী রাজা হিসেবে রয়েছে তার পরিচিত। বিপুল সম্পদের মালিক তিনি। অসংযত নানা শখের পেছনে তার খরচের পরিমাণটাও কম নয়।
শ্যামদেশের এ রাজার বহরে রয়েছে ৩৮টি বিমান ও রণতরী। এর মধ্যে রয়েছে ২১টি হেলিকপ্টার। পাশাপাশি রয়েছে বোয়িং, এয়ার বাস বিমান ও সুখোই সুপারজেট। এই ধরনের বিশাল ও বিলাসবহুল বহর সংগ্রহে রাখা ও রক্ষণাবেক্ষণের খরচও যথেষ্ট। শুধুমাত্র জ্বালানি ও বিমান রক্ষণাবেক্ষণের জন্য রাজাকে বছরে খরচ করতে হয় ৬৯১ কোটি ৪০ লাখ ৮৩ হাজার টাকা।
মহা ভাজিরালংকর্নের সম্পদের মূল্যমান ৪০ বিলিয়ন ডলার। নানা সম্পদের মধ্যে রয়েছে প্রচুর জমি, বাড়িঘর, শপিং মল, হোটেল ও অন্যান্য স্থাপনা।
দেশজুড়ে ১৬ হাজার ২১০ একর জমির মালিক তিনি। কেবল সম্পত্তি ভাড়ার জন্যই ৪০ হাজারটি চুক্তি রয়েছে তার। এসব সম্পদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ রয়েছে রাজধানীর ব্যংককে।
থাইল্যান্ডের দ্বিতীয় বৃহত্তম সিয়াম কমার্শিয়াল ব্যাংকে রাজার বিনিয়োগের পরিমাণ ২৩ শতাংশ। এছাড়া দেশটির বৃহত্তম শিল্প সংস্থা সিয়াম সিমেন্ট গ্রুপে রয়েছে ৩৩.৩ শতাংশ অংশীদারিত্ব।
রাজার রাজকীয় চিত্তাকর্ষক ৫৪৫.৬৭ ক্যারেটের বাদামি গোল্ডেন জুবিলি হীরাটি বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল হীরা হিসেবে স্বীকৃত। ডায়মন্ড কর্তৃপক্ষের হিসাব মতে, এর আনুমানিক মূল্য প্রায় ১২৯ কোটি ৩৬ লাখ ৫৮ হাজার টাকা।
যদিও রাজার একটি বিশাল গাড়ি বহরও রয়েছে। যাতে আছে ৩০০টির মতো বিলাসবহুল গাড়ি। এই বহরে লিমুজিন ও মার্সিডিজ বেঞ্জের মতো দামি গাড়িও রয়েছে।
গাড়ির বহর ছাড়াও রয়েছে একটি রয়্যাল বোট যা রাজপরিবারের প্রাচীনতম প্রতীক হিসেবে অত্যন্ত তাৎপর্য বহন করে। ৫২টি নৌকার সমন্বয়ে রাজকীয় এ বোটের প্রত্যেকটিই সোনা দিয়ে খোদাই করে সজ্জিত যা সম্মিলিতভাবে সুফানাহং নামে পরিচিত।
থাইল্যান্ডের রাজকীয় গ্র্যান্ড প্যালেসটি ২৩ লাখ ৫১ হাজার বর্গফুট এলাকাজুড়ে বিস্তৃত। ১৭৮২ সালে এর নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছিল যা থাইল্যান্ডের রাজতন্ত্র ও ঐতিহ্যের প্রতীক হিসেবে ঐতিহাসিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ।