অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে জর্জরিত বরিশাল বিএনপি মহান মে দিবসে দেখিয়েছে ঐক্যের নজির। দীর্ঘদিনের বিবাদ সরিয়ে শীর্ষ পর্যায়ের সব নেতা একসঙ্গে গত সোমবার মে দিবসের শোভাযাত্রায় অংশ নেন। তবে ভিন্ন দৃশ্য দেখা গেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ শিবিরে। পৃথক শোভাযাত্রায় প্রকাশ্যে এসেছে দলের বিভক্তি।
বরিশাল বিএনপিতে বড় ধরনের বিভক্তির শুরু ২০২১ সালের ৩ নভেম্বর মহানগরের আহ্বায়ক কমিটি গঠনের পর থেকে। ওই কমিটির সঙ্গে দীর্ঘদিনের দূরত্ব স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী নেতা ও দলের যুগ্ম মহাসচিব মজিবর রহমান সরোয়ারের। মহানগরের কর্মসূচিতে তাঁকে আমন্ত্রণও জানানো হতো না। সেই দূরত্বের অবসান ঘটল সোমবার। জেলা ও মহানগর শ্রমিক দলের ব্যানারে বিএনপির শোভাযাত্রায় প্রধান অতিথি ছিলেন সরোয়ার। মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক ও দক্ষিণ জেলার আহ্বায়ক আবুল হোসেন খানও এতে অংশ নেন। জানা গেছে, কেন্দ্রের নির্দেশে সরোয়ারকে এ আয়োজনে প্রধান অতিথি করা হয়।
অপরদিকে, সম্প্রতি বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর ভাগনে আবুল খায়ের আবদুল্লাহ ওরফে খোকন সেরনিয়াবাত মেয়র পদে মনোনয়ন পাওয়ার পর তাঁকে ঘিরে স্থানীয় আওয়ামী লীগে নতুন বলয়ের সৃষ্টি হয়েছে। খোকন সেরনিয়াবাতের ভাতিজা বর্তমান মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ মহানগরে গত ৫ বছরের একক আধিপত্য ধরে রাখার চেষ্টা করছেন।
এমন পরিস্থিতিতে শক্তির জানান দিতে সোমবার বিকেলে দলীয় কার্যালয় চত্বরে বড় সমাবেশ এবং পরে শোভাযাত্রা করেন সাদিক আবদুল্লাহর অনুসারীরা। মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক পরিমল চন্দ্র দাসের আয়োজনে এ শোভাযাত্রা হয়। মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ কে এম জাহাঙ্গীরসহ মহানগরের প্রায় সর্বস্তরের নেতাকর্মী এতে অংশ নেন। এর আগে সকালে মহানগর শ্রমিক লীগ সভাপতি আফতাব হোসেন ও আওয়ামী লীগের জেলা সভাপতি শাহজাহান হাওলাদারের নেতৃত্বে পৃথক সমাবেশ ও শোভাযাত্রা হয়। ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মেয়র প্রার্থী খোকন সেরনিয়াবাত।
গণসংযোগ শুরু খোকন সেরনিয়াবাতের বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী খোকন সেরনিয়াবাত গতকাল মঙ্গলবার প্রথম নির্বাচনী গণসংযোগ করেছেন। দুপুর ১২টার দিকে তিনি নগর ভবন এলাকা থেকে শুরু করে চকবাজার পর্যন্ত এবং ফায়ার সার্ভিস স্টেশন থেকে চরকাউয়া খেয়াঘাট পর্যন্ত হেঁটে ব্যবসায়ী ও পথচারীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আফজালুল করীম, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি শাহজাহান হাওলাদার, যুবলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য অসীম দেওয়ান, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জসিম উদ্দিন, মঈন তুষার প্রমুখ।