লিটন দাসের এবারের বিপিএলের শুরুটা ভালো ছিল না মোটেও। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস অধিনায়ক প্রথম ৫ ম্যাচে একবারও ২০ রানের ঘরে যেতে পারেননি, ৭৫ স্ট্রাইক রেটে করেছিলেন মাত্র ৩৭ রান! অধিনায়কত্বের চাপ ব্যাটিংয়ে প্রভাব ফেলছে কি না, লিটনকে তখন এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হতেই হয়েছে।
তবে পরের ম্যাচগুলোতে রান করে সে প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন লিটন ব্যাট হাতেই। বিপিএলের লিগ পর্বের শেষ ৭ ম্যাচে ১৪০.৮৮ স্ট্রাইক রেটে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ২৫৫ রান। ক্যারিয়ার–সেরা ৮৫ রানের ইনিংসটিও এসেছে সে সময়। সব মিলিয়ে বিপিএলে এখন পর্যন্ত লিটনের রান ২৯২।
খোলস থেকে বেরিয়ে এসে ঢুকে পড়েছেন সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায়, প্লে-অফের আগে আছেন ৮ নম্বরে। রান সংখ্যাটাকে এখন চার শর ঘরে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য লিটনের। রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে আগামীকালের কুমিল্লার প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচের আগে আজ সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় এ লক্ষ্যের কথা জানান লিটন। সেটি করতে অন্তত দুটি ম্যাচ সুযোগ পাবেন লিটন। প্রথম কোয়ালিফায়ারে দল জিতলে যাবে ফাইনালে, হারলেও সুযোগ পাবে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে খেলার।
নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে লিটন আজ বললেন, ‘প্রত্যেকটা ব্যাটসম্যান প্রতিদিন রান করবে না, এটাই বাস্তবতা। খুবই যে খারাপ খেলেছি, তা–ও না। প্রায় ৩০০ রানের কাছাকাছি চলে গিয়েছি। যে ভালো খেলেছে, তার হয়তো ৪০০ রান বা এমন কিছু। এখনো হয়তো দুটি খেলা বাকি আছে। দেখা যাক! আমি যদি নিজের পারফরম্যান্সটা করতে পারি, অবশ্যই চার শর বেশি করার সুযোগ থাকবে।’
শুরুতে ছন্দ খুঁজে না পেলেও আশা হারাননি, এমন জানিয়েছেন এই ব্যাটসম্যান, ‘আগেও বলেছি, টুর্নামেন্টটা অনেক লম্বা। এখানে একজন ব্যাটসম্যান বা বোলার দুই-তিন ম্যাচ খারাপ খেললেও ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ সব সময়ই থাকে। আমারও মনে হয়, এই জিনিসটাই ছিল। অনুশীলন করেছি, কঠোর পরিশ্রম করেছি। বলব না যে শতভাগ ফল পেয়েছি। তবে উন্নতির অনেক জায়গা আছে। আমি কাজ করে যাচ্ছি।’
অধিনায়ক হিসেবে লিটন নিজের ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের ঝলকানিটা দলের জয়ের দিনেই দেখাতে চাইবেন। বিপিএলের প্লে-অফ তেমনই এক মঞ্চ। রংপুরের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে লিটনেরও তেমনই প্রত্যাশা, ‘চেষ্টা করব! প্রত্যাশা বলতে…কোনো কিছু এ রকম না। প্রত্যাশা নিতে গেলেই চাপ বেশি চলে আসবে। বড় ম্যাচ। যাব, খেলাটা উপভোগ করব। যদি আমার দিন থাকে। দিনটা কাজে লাগানোর চেষ্টা করব।’