বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সর্বশেষ আসরে নাসির হোসেন ছিলেন টুর্নামেন্টের অন্যতম সেরা পারফর্মার। ঢাকা ডমিনেটর্সের হয়ে ব্যাটে-বলে দ্যুতি ছড়িয়েছেন তিনি। ১২ ম্যাচ খেলে ৪৫.৭৫ গড়ে ৩৬৬ রান করেছেন নাসির। বল হাতে ১৪.৬ গড়ে শিকার করেছেন ১৬ উইকেট। এমন অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের পরও আগামী বিপিএলে খেলা হচ্ছে না নাসিরের। ২০২৪ বিপিএলের ড্রাফট তালিকা, খেলোয়াড় ধরে রাখার তালিকা—কোথাও নেই এই অলরাউন্ডার।
শুধু বিপিএল নয়, তার বিরুদ্ধে আনা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসির দুর্নীতির অভিযোগ থেকে মুক্তি না পেলে দেশের কোনো ঘরোয়া টুর্নামেন্টেই খেলতে পারবেন না নাসির। বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন জানান, আমরা তাকে বিপিএল ড্রাফটের তালিকায় রাখিনি। আইসিসি ক্লিয়ার না করা পর্যন্ত বাংলাদেশের কোনো ঘরোয়া টুর্নামেন্টে সে খেলতে পারবে না।’
নাসিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। সেই অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের আবুধাবি টি-১০ লিগে দুর্নীতি বিরোধী তিনটি ধারা ভঙ্গ করেছেন তিনি। যেখানে নাসির ৭৫০ ডলারের বেশি অর্থমূল্যের উপহার নিয়েছেন এবং তিনি তা আমিরাত বোর্ডের দুর্নীতি দমন কর্মকর্তাকে জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হলে নাসির অসহযোগিতা করেছেন বা সহায়তা করতে অস্বীকার করেছেন।
বিপিএলের ড্রাফট হচ্ছে আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর। এবার মোট ২০৩ জন দেশি ক্রিকেটারকে রাখা হয়েছে এবারের প্লেয়ার্স ড্রাফটে। সাতটি ক্যাটেগরিতে ভাগ করা হয়েছে তাদেরকে। একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে থাকছেন মুশফিকুর রহিম। এই ক্যাটাগরিতে গতবারের মতোই ৮০ লাখ টাকা থাকছে। ‘বি’ ক্যাটেগরিতে আছেন চার জন ক্রিকেটার। তারা হলেন, আফিফ হোসেন ধ্রুব, এবাদত হোসেন, ইমরুল কায়েস ও রনি তালুকদার। তাদের পারিশ্রমিক ৫০ লাখ টাকা। ‘সি’ থেকে ‘জি’ এর তালিকায় থাকা খেলোয়াড়দের ভিত্তিমূল্য ৩০ লাখ, ২০ লাখ, ১৫ লাখ, ১০ লাখ ও ৫ লাখ টাকা।