ঢাকার ১৫ বিদেশি মিশনের বিবৃতি নিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, ১৫টি মিশনের বিবৃতি আমাদের নজরে এসেছে। আগেও বলেছি, বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ও নীতির মূলে রয়েছে গণতান্ত্রিক নীতি ও মূল্যবোধ। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এ দেশের জন্ম হয়েছে। আর এতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং অন্য মহান নেতাদের পাকিস্তানের স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে সারাজীবনের সংগ্রামের গৌরবময় ইতিহাস রয়েছে। এ সংগ্রাম চলবে এবং দেশকে গণতান্ত্রিক ও মৌলিক স্বাধীনতার ধারা থেকে বিচ্যুত করতে শেখ হাসিনা কোনো বাইরের চাপের কাছে মাথানত করবেন না।
ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে মানবাধিকার দিবসে সরকারের অবস্থান তুলে ধরেন এসব কথা বলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। রোববার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পালন করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ‘বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট :মানবাধিকার উন্নয়ন ও সুরক্ষা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
শেখ হাসিনার শক্তির উৎস হচ্ছে সাধারণ জনগণ দাবি করে তিনি বলেন, এ দেশের মানুষ ঠিক করবে কে এই দেশ শাসন করবে। কোনো বাইরের শক্তি বা অভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্র এটি ঠিক করে দিতে পারবে না। এ মাটিতে গণতন্ত্র, মানুষের সম্মান এবং মৌলিক স্বাধীনতা সুরক্ষায় আমরা কখনোই সংগ্রাম ছাড়ব না।
ঢাকার বিদেশি মিশনগুলোতে দায়িত্বরত দূতদের কূটনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘন না করার পাশাপাশি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন মো. শাহরিয়ার আলম।
তিনি বলেন, তারা নিজ দেশে বিদেশি মিশনগুলোকে যেভাবে দেখতে চায়, বাংলাদেশেও যাতে তারা সেইভাবে কূটনৈতিক শিষ্টাচার মেনে চলে। বাংলাদেশ সরকার ধৈর্য ধরে রয়েছে। সেই সঙ্গে বিদেশি অতিথিদের বিষয়ে আমরা আন্তরিক। সবার সঙ্গে আমরা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে আন্তরিক। তবে আমাদের ধৈর্যের একটা সীমা রয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস, ঢাকায় যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার রবার্ট সি ডিকসন, ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের ডেলিগেশন প্রধান চার্লস হোয়াটলিসহ বিভিন্ন বিদেশি মিশনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ, সাবেক মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান, সাবেক রাষ্ট্রদূত আবদুল হান্নান, বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া কবির প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।