বিকল্পদের দেখে নিচ্ছেন কোচ হাথুরুসিংহে

0
172
কোচ হাথুরুসিংহের ক্লাসে সৌম্য সরকার।

তামিম ইকবালদের সঙ্গে সাদা বলের অনুশীলনে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, শেখ মেহেদি ও সৌম্য সরকারকেও দেখা গেল বুধবার। এ তিন ক্রিকেটারের কেউই আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোম সিরিজের দলে না থেকেও অনুশীলনে যোগ দেওয়ায় গুঞ্জনের ডালপালা মেলে। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে মুখে মুখে আলোচনা ছিল বিশ্বকাপ দলে ব্যাটিং অর্ডারের সাত নম্বর পজিশনের জন্য দেখা হচ্ছে এই ক্রিকেটারদের।

বাস্তবতা হলো, সৌম্য সরকার ছাড়া এ মুহূর্তে কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের বিবেচনায় নেই বাকি দু’জন। মূলত কোচ মোসাদ্দেক ও মেহেদিকে অনুশীলনে পরখ করে দেখতে চেয়েছেন। কারণ, বিশ্বকাপের প্রাথমিক স্কোয়াডে ২২ থেকে ২৫ ক্রিকেটারকে বাছাই করতে হবে। জাতীয় পুলের বাইরে থেকেও কয়েকজন ক্রিকেটারকেও নিতে হতে পারে। সে কারণেই পাইপলাইনের ক্রিকেটারদের দেখে নিচ্ছেন কোচ।

ক্রিকেটারদের নিজের চোখে না দেখে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে চান না চন্ডিকা। মূল স্কোয়াডের কোনো খেলোয়াড় চোটে পড়লে বিকল্প তালিকা থেকে নিতে হবে। সে করণে মূল স্কোয়াডের ক্রিকেটারদের বিকল্প দেখে রাখা। চন্ডিকার পুরোনো স্টাইল এটি। ২০১৪ সালে জাতীয় দলের কোচ হওয়ার পরও একই কাজ করেছিলেন তিনি। ২০১৫ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে সেই সময়ে জাতীয় দলের বাইরে থাকা ক্রিকেটারদের পরখ করেছিলেন নেটে। তাঁদের অনেককেই বিশ্বকাপের প্রাথমিক স্কোয়াডেও রাখা হয়েছিল।

প্রথম মেয়াদে হাথুরুসিংহের ডাক পাওয়া একজন ক্রিকেটার বলেন, ‘হাথুরুসিংহের একটি ভালো গুণ আছে। তিনি আসার আগের এক দুই বছরের জাতীয় দল থেকে বাদ পড়া ক্রিকেটারদের একবার হলেও কাছ থেকে দেখেছেন এবং কথা বলে উজ্জীবিত করেছেন। এবারও হয়তো সেটা করছেন।’

হাথুরুসিংহেকে এ বছরের শুরুতে জাতীয় দলের প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় দ্বিতীয় মেয়াদে। তিনি কাজে যোগ দেওয়ার আগেই জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েন সৌম্য, মোসাদ্দেক ও শেখ মেহেদি। সৌম্যর সম্পর্কে জানাশোনা থাকলেও বাকি দু’জন তাঁর কাছে অপরিচিত। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে দু’জনেই আবার নিয়মিত পারফরমার। জাতীয় দল এবং ঘরোয়া লিগে দু’জনের পারফরম্যান্সের পরিসংখ্যানও রয়েছে কোচের কাছে।

এই ক্রিকেটারদের বিশ্বকাপে বিকল্প হিসেবে রাখার অনুমোদন দেওয়ার আগে ভালো করে দেখে নিলে সুবিধা হয় তাঁর। জাতীয় দলের নেটে মোসাদ্দেক, মেহেদিকে রাখার এটা অন্যতম কারণ বলে জানান বিসিবির একজন কর্মকর্তা। তিন দিন অনুশীলেন দেখার পর কারও মধ্যে প্রতিভা দেখতে পেলে বাংলাদেশ টাইগার এবং ‘এ’ দলের সঙ্গে যুক্ত করা হতে পারে।

সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিশ্বকাপ স্কোয়াডের একটা প্রাথমিক তালিকা দিতে হবে প্রতিটি দলকে। বাংলাদেশ ২২ থেকে ২৫ জনের একটা তালিকা করতে পারে। এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে নির্বাচক হাবিবুল বাশার বলেন, ‘এবার এখনও বিশ্বকাপের প্রাথমিক দল চাওয়া হয়নি। তেমন কিছু না হলে ২০ থেকে ২২ জনের একটা পুল রাখা হবে। মূল স্কোয়াডের বাইরে যাতে পাঁচ থেকে সাতজন থাকে।’

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.