ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ রোববার বেলা সোয়া একটার দিকে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১-এর বিচারক আবুল কাসেম এ আদেশ দেন।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আমানউল্লাহর আইনজীবী সৈয়দ নজরুল ইসলাম।
এর আগে দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত আমানউল্লাহ দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে আত্মসমর্পণ করার জন্য আদালত চত্বরে আসেন। পরে তিনি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১–এ আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন।
আইনজীবী সৈয়দ নজরুল ইসলাম জানান, আদালত আমানউল্লাহর জামিন আবেদন নাকচ করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার দুর্নীতির মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ড পাওয়া আমানউল্লাহর স্ত্রী সাবেরা আমানের জামিন মঞ্জুর করেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম।
সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় আমানউল্লাহকে ১৩ বছর ও সাবেরাকে বিচারিক আদালতের দেওয়া রায়ে তিন বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখে গত ৩০ মে রায় দেন হাইকোর্ট। এ রায়ের অনুলিপি বিচারিক আদালতের গ্রহণের ১৫ দিনের মধ্যে আমানউল্লাহ ও সাবেরাকে সংশ্লিষ্ট আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। গত ৭ আগস্ট পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়।
নির্দেশনা অনুসারে ৩ সেপ্টেম্বর সংশ্লিষ্ট আদালতে আত্মসমর্পণ করেন সাবেরা। ঢাকার বিশেষ জজ-১ আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে ৪ সেপ্টেম্বর লিভ টু আপিল করে সাবেরা জামিন চান।
গত মঙ্গলবার সাবেরার জামিন মঞ্জুর করেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম।
সম্পদের তথ্য গোপন ও আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আমান দম্পতির বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ৬ মার্চ রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক। একই বছরের ২১ জুন সংসদ ভবনে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালতের রায়ে আমানকে ১৩ বছরের (পৃথক ধারায় ১০ ও ৩ বছর) ও সাবেরাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে তাঁরা হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১০ সালে ১৬ আগস্ট হাইকোর্ট আপিল মঞ্জুর করে তাঁদের খালাস দেন।
এ রায়ের বিরুদ্ধে দুদক আপিল বিভাগে আবেদন করে। এর শুনানি শেষে ২০১৪ সালের ২৫ মে আপিল বিভাগ খালাসের রায় বাতিল করে হাইকোর্ট আপিল পুনঃশুনানি করতে নির্দেশ দেন। পুনঃশুনানি শেষে আমান দম্পতির আপিল খারিজ করে বিচারিক আদালতের দেওয়া দণ্ড বহাল রেখে গত ৩০ মে ওই রায় দেন হাইকোর্ট।