বিএনপির সমাবেশস্থল গোলাপবাগে দ্রুতগতির ইন্টারনেট বন্ধের নির্দেশ

0
212
ইন্টারনেট

বিএনপির প্রথম বিভাগীয় গণসমাবেশ হয় গত ১২ অক্টোবর চট্টগ্রামে। এরপর পর্যায়ক্রমে ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর, বরিশাল, ফরিদপুর, কুমিল্লা ও রাজশাহীতে সমাবেশ করেছে দলটি। চট্টগ্রাম ছাড়া প্রতিটি সমাবেশের সময় মোবাইল ইন্টারনেটের গতি কমে যেতে দেখা গেছে।

বিষয়টি নিয়ে গত ১৯ নভেম্বর বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) বক্তব্য জানতে চাওয়া হলে সংস্থাটির ভাইস চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন বলেছিলেন, বিটিআরসি এমন কোনো নির্দেশনা দেয় বলে তাঁর জানা নেই। তবে প্রযুক্তিগত কোনো সমস্যার কারণে হয়তো সেখানে গতি কম পাওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া কোথাও বেশি মানুষের সমাগম ঘটলে সেখানে স্বাভাবিক নেটওয়ার্কপ্রাপ্তি বাধাগ্রস্ত হয়ে থাকে।

এদিকে বাংলাদেশে ইন্টারনেট সেবা নির্বিঘ্ন করতে বিটিআরসি ও অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশসহ (এএমটিওবি) সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে আজ খোলাচিঠি দিয়েছে ২০টি আন্তর্জাতিক সংগঠন।

সংগঠনগুলোর মধ্যে রয়েছে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা অ্যাকসেস নাউ, আফ্রিকান ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশন এক্সচেঞ্জ (এএফইএক্স), আফ্রিকান ফ্রিডম অব ইনফরমেশন সেন্টার (এএফআইসি), আফ্রিকা ওপেন ডেটা অ্যান্ড ইন্টারনেট রিসার্চ ফাউন্ডেশন, আর্টিকেল নাইনটিন, আর্টিকেল নাইনটিন সাউথ এশিয়া, সেন্টার ফর কমিউনিটি এমপাওয়ারমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (মালাওই) ও সেন্টার ফর মিডিয়া স্টাডিজ অ্যান্ড পিসবিল্ডিং (সিইএমইএসপি)।

খোলাচিঠিতে বলা হয়, গত কয়েক সপ্তাহে বাংলাদেশে মানবাধিকার সুস্পষ্টভাবে লঙ্ঘিত হয়েছে এবং ইন্টারনেটের গতি কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গে বিরোধী দলের চলমান বিক্ষোভ এবং আসন্ন ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশের সম্পর্ক রয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.