আগামী ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন হবে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ফাইনাল খেলার জন্য প্রস্তুত। খেলা হবে সামনাসামনি। আমরা ভোটচোরদের চিহ্নিত করব। আমরা মাঠে আছি, রাজপথে আছি। বিএনপি তলেতলে কী কৌশল করছে, আমরা জানি। এবার আগুন–সন্ত্রাস করলে হাত ভেঙে দেওয়া হবে।’
বিএনপি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে আসবে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি পানি ঘোলা করে আসবে। না এসে উপায় নেই। গত নির্বাচনেও তারা এসেছিল। তারা নির্বাচনে জিতবে পারবে না। আমাদের নেত্রী ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেছেন। জনগণ যে রায় দেবে, আমরা সেই রায় মেনে নেব।’
বিএনপিকে পাল্টাপাল্টি না করার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা শান্তি সমাবেশ করছি। নির্বাচনের আগপর্যন্ত প্রতিদিনই সমাবেশ হবে। আওয়ামী লীগ সমাবেশের ডাক দিলে মহাসমাবেশ হয়। আর বিএনপি মহাসমাবেশের ডাক দিয়ে সমাবেশও করতে পারে না। এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ কোথাও বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা দেয়নি।’
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিউর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এনামুল কবির ইমনের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য দেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান; দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দা জেবুন্নেছা হক; কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, শফিউল আলম চৌধুরী; কেন্দ্রীয় কমিটির উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান; কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মুশফিক হোসেন চৌধুরী, আজিজুস সামাদ আজাদ; সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য মহিবুর রহমান মানিক; সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন; সুনামগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য জয়া সেনগুপ্তা; সুনামগঞ্জ ও সিলেট সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য শামীমা আক্তার খানম প্রমুখ।
ওবায়দুল কাদের বেলা সোয়া দুইটায় তাঁর বক্তব্য শুরু করেন। বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে তিনি সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের নতুন সভাপতি হিসেবে নুরুল হুদা ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নোমান বখতের নাম ঘোষণা করেন।
সম্মেলনে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগকে শেষ করে দিতে চেয়েছিল, পারেনি। ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে গ্রেনেড হামলা করেছিল। সেই বিএনপি বড় বড় কথা বলে। বিএনপিকে মাঠেই মোকাবিলা করা হবে। সাপকে বিশ্বাস করা যায়, কিন্তু বিএনপি-জামায়াতকে বিশ্বাস করা যায় না।’
এর আগে সম্মেলন উপলক্ষে সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সম্মেলনস্থলে উপস্থিত হন হাজারো নেতা-কর্মী। দুপুরের আগেই পুরো মাঠ নেতা-কর্মীদের সরব উপস্থিতিতে উৎসবমুখর হয়ে ওঠে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয় ২০১৬ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি। ওই সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন মতিউর রহমান ও এনামুল কবির ইমন। এবার ওবায়দুল কাদের নতুন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণার আগে মতিউর রহমানকে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য এবং এনামুল কবিরকে জাতীয় পরিষদ সদস্য হিসেবে ঘোষণা দেন।