বিএনপিতে ৩৯ নেতার পদ রদবদল

0
20
বিএনপি

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটিতে ৩৯ নেতার পদে রদবদল আনা হয়েছে। শনিবার সকালে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিল এবং জাতীয় নির্বাহী কমিটিতে নিম্নবর্ণিত নেতাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

ড. আসাদুজ্জামান রিপন ভাইস চেয়ারম্যান: বিএনপির বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপনকে দলের ভাইস চেয়ারম্যান মনোনীত করা হয়েছে।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হলেন ১০ জন: জহির উদ্দিন স্বপন, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার এ এইচ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান সরোয়ার, অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হারুন অর রশিদ, লায়ন আসলাম চৌধুরী, রাজশাহী বিভাগীর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, সহ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক বেবী নাজনীন, সহ-তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন চৌধুরী পাহিনকে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পদে মনোনীত করা হয়েছে।

আব্দুস সালাম আজাদ, এমরান সালেহ প্রিন্স ও এ্যানী যুগ্ম মহাসচিব: ঢাকা বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, ময়মনসিংহ বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স এবং প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীকে যুগ্ম মহাসচিব পদে মনোনীত করা হয়েছে।

সাংগঠনিক সম্পাদক পদে চার পরিবর্তন: ঢাকা বিভাগীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুলকে সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ), রাজশাহী বিভাগীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ শাহীন শওকত খালেককে সাংগঠনিক সম্পাদক (রাজশাহী বিভাগ), সমবায় বিষয়ক সম্পাদক জি কে গউছকে সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) এবং ময়মনসিংহ বিভাগীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল আলমকে সাংগঠনিক সম্পাদক (ময়মনসিংহ বিভাগ) পদে মনোনীত করা হয়েছে।

সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রচার সম্পাদক: যুবদলের সাবেক সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে প্রচার সম্পাদক পদে মনোনীত করা হয়েছে। এছাড়া বিএনপির সহ-প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক প্রফেসর ড. মোর্শেদ হাসান খানকে গণশিক্ষা সম্পাদক, সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীমকে গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক, সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীমকে সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (রাজশাহী বিভাগ), সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদকে সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ), নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক আমিনুল ইসলামকে সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগ) পদে মনোনীত করা হয়েছে।

বিএনপির নির্বাহী সদস্য ব্যারিস্টার মীর হেলাল উদ্দিনকে সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম বিভাগ), আবু ওয়াহাব আকন্দকে সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (ময়মনসিংহ বিভাগ), মিফতাহ সিদ্দিকীকে সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ), নাহিদ খানকে সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক, ডা. শাহ মুহাম্মদ আমান উল্লাহকে সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক, এস এম সাইফ আলীকে সহ-তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক পদে মনোনীত করা হয়েছে।

এদিকে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দিন মজুমদারকে জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, রংপুর বিভাগীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলমকে জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, কুমিল্লা বিভাগীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সায়েদুল হক সাঈদকে জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, সহ-কৃষি বিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল ফারুককে জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, সহ-তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার এস এম গালিবকে জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য পদে মনোনীত করা হয়েছে।

এছাড়া যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমেদকে জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, মহিউদ্দিন আহমেদ ঝিন্টুকে জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, গাজী মনিরকে জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খানকে জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য পদে মনোনীত করা হয়েছে।

সরকারবিরোধী আন্দোলনে ব্যর্থতা নিয়ে বিএনপির ভেতর দীর্ঘদিন ধরে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। কেউ কেউ এ জন্য মাঠ পর্যায়ের নেতৃত্বকে দায়ী করছেন। তৃণমূলের নেতাকর্মীর অধিকাংশই মনে করেন, সঠিক দিকনির্দেশনা ও পরিকল্পনার অভাবে আন্দোলনে বারবার হোঁচট খাচ্ছে দল। নেতৃত্ব নিয়ে এমন সমালোচনার মধ্যেই আকস্মিক ঢাকাসহ দেশের চার মহানগর কমিটি এবং যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। এটি সরকার পতনের আন্দোলনে ব্যর্থতার ফল, নাকি এর পেছনে অন্য হিসাবনিকাশ রয়েছে; শুরু হয়েছে তার চুলচেরা বিশ্লেষণ।

দলটির গুরুত্বপূর্ণ এসব ইউনিটের কমিটি বিলুপ্তির ঘোষণা আসে গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে। এ নিয়ে সারাদেশে দলের মধ্যে শুরু হয় আলোচনা। কেউ কেউ এ ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করেন। তৃণমূল পর্যায়ে অনেক নেতাকর্মী এতে খুশি। তবে বিলুপ্ত কমিটির নেতাদের কেউ কেউ ক্ষুব্ধ। অনেকে আবার এরই মধ্যে নেতৃত্বে আসতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। সব মিলিয়ে কমিটি ভাঙাগড়া নিয়ে বিএনপিতে বইছে ‘ঝড়’। নতুন কমিটিতে কারা আসতে পারেন, তা নিয়েও শুরু হয় জল্পনা-কল্পনা।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.