সাক্ষাৎকারের শুরুতে ওটিটিতে অভিষেকের প্রসঙ্গে এই বলিউড নায়ক বলেন, ‘আমি প্রচুর বিদেশি সিরিজ দেখি। রাজ-ডিকের ‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান’ দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। আমার মনে হয়েছিল, সিরিজের মাধ্যমে দর্শকের সঙ্গে এক আলাদা সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সিরিজে নিজের চরিত্রটাকে অনেক ভালোভাবে এবং গভীরভাবে মেলে ধরার সুযোগ থাকে। তাই ‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান’ দেখার পরই আমি রাজ-ডিকেকে বলি যে আমি সিরিজে কাজ করতে চাই। তাঁরা প্রথমে অবাক হয়েছিলেন। কারণ, তখন আমি ‘কবির সিং’ করে আলোচনায় ভাসছি। তাই বড় পর্দা ছেড়ে ওটিটিতে আসা, তা-ও আবার সিরিজে, এটা তাঁদের মেনে নিতে অসুবিধা হচ্ছিল।’
বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে দুই দশক পার করে ফেলেছেন শহীদ। দুই দশকের ভ্রমণ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতে একটু আনমনা হয়ে পড়েন, ‘আমি অভিনেতা হয়েছি, তা নিজের জোরে। এখানে কেউ আমার মেন্টর ছিলেন না। আমাকে কেউ কখনো গাইড করেননি। বাবা অভিনেতা ছিলেন। আমি আমার মায়ের সঙ্গে বাবার থেকে আলাদা থাকতাম। বাড়ির বড় ছেলে। তাই সব দায়িত্ব আমার কাঁধে ছিল। ছোট থেকে আমাকেই সব সিদ্ধান্ত নিতে হতো। ১৬ বছর বয়স থেকে কাজ করা শুরু করি। তাই ছোট থেকেই আমি স্বাধীনচেতা।’
আড্ডায় শহীদ জানান যে ব্যর্থতাকে ঝেড়ে ফেলে এগিয়ে চলতে জানেন তিনি। ‘আজকালকার তরুণ অভিনেতাদের দেখি, ছবি না চললে মানসিক অবসাদ তাঁদের ঘিরে ধরে। এক মাসে আমার পরপর তিনটা ছবি ফ্লপ করেছিল। এসব ছবিতে আমার সঙ্গে বড় তারকারা ছিলেন। কিন্তু তাও আমি হতাশ হইনি। ছবি হিট-ফ্লপ আমাদের হাতে থাকে না। আমরা শুধু আমাদের কাজটুকু ভালোভাবে এবং সততার সঙ্গে করতে পারি। ব্যর্থতা থেকে আমি সব সময় শেখার চেষ্টা করি,’ একনিশ্বাসে বলে গেলেন শহীদ
যে সাত কারণে মুক্তির পরেই আলোচনায় ‘ফরজি’
দুই মাস ধরে সাধারণ দর্শক থেকে শুরু করে বলিউড তারকাদের মুখে পাঠান ছবির নাম। অনেকের মতে দক্ষিণি ছবির দুরন্ত গতিকে থামাতে পারবে একমাত্র শাহরুখ খানের এই ছবি। শহীদ কী ভাবছেন? তাঁর মতে, ‘পাঁচ বছর আগে কেউ দক্ষিণের ছবির কথা বলতেন না। তখন কি দক্ষিণে ভালো ছবি হতো না? আসলে আমরা এখন ছবির গুণগত মান নিয়ে কেউ কথা বলি না। আমরা সবাই বক্স অফিসের সংখ্যার পেছনে দৌড়াচ্ছি। এখন আর কেউ জিজ্ঞেস করেন না, ছবিটা ভালো, না মন্দ। এখন লোকে প্রশ্ন করেন, ছবিটা কত কোটি ব্যবসা করল। আর এটা অত্যন্ত হতাশাজনক। আমার মতে সফলতার পেছনে দৌড়িও না, এমন কাজ করো যে সফলতা তোমায় খুঁজে নেবে।’
কথায় কথায় শহীদ জানান, আগে তিনি সমালোচনাকে ভালোভাবে নিতেন না। কিন্তু এখন খোলামনেই নেন।
তিনি আরও জানান, তাঁর বড় সমালোচক বাড়িতেই আছে। হাসতে হাসতে তিনি বলেন, ‘আমার সবচেয়ে বড় সমালোচক আমার স্ত্রী মীরা আর ভাই ঈশান। আমি আর মীরা ভালো বন্ধু। একে অপরের থেকে কিছুই লুকাই না। আমাদের সম্পর্কে স্বচ্ছতা আছে। আর ঈশান তো আমায় এতটুকু ছাড়ে না। আমি তাকে বলি যে আমি বয়সে বড়। অভিনয় বা অন্য কোনো দিকে আমার কিছু ভুল পেলে সে আমার ভরপুর সমালোচনা করে।