বার্সেলোনায় নাম লেখাতে বেতন কমিয়েছেন ফেলিক্স

0
174
আতলেতিকো থেকে ধারে বার্সেলোনায় যোগ দিয়েছেন জোয়াও ফেলিক্স, ছবি: এএফপি

৩ ম্যাচ খেলে ৩ গোল, ১ অ্যাসিস্ট—বার্সেলোনায় শুরুটা প্রত্যাশার চেয়েও ভালো হয়েছে জোয়াও ফেলিক্সের। গ্রীষ্মকালীন দলবদলের শেষ দিনে ফেলিক্স আতলেতিকো মাদ্রিদ থেকে বার্সায় এসেছেন ধারে।

ভবিষ্যতে বার্সেলোনা তাঁকে চুক্তিবদ্ধ করতে চাইবে কি না বা আতলেতিকো মাদ্রিদের সঙ্গে বার্সার সমঝোতা হবে কি না, আপাতত নিশ্চিত নয়। তবে কাতালোনিয়ায় সময়টা ভালোই উপভোগ করছেন। বার্সার হয়ে খেলার জন্য নিজের বেতনে বড় ছাড় পর্যন্ত দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ফেলিক্স। বলেছেন, তিনি উপভোগ করতে চান। বার্সেলোনাই তাঁর উপভোগের জন্য আদর্শ জায়গা।

চ্যাম্পিয়নস লিগে পরশু রাতে অ্যান্টওয়ার্পের বিপক্ষে বার্সার পাঁচ গোলের তিনটিতেই ছিল ফেলিক্সের অবদান। দুটি গোল করে, একটি করিয়ে। ম্যাচের পর বার্সেলোনাভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মুন্দো দেপোর্তিবোর এক প্রশ্নের জবাবে ২৩ বছর বয়সী পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড জানান, বার্সেলোনায় আসতে বড় অঙ্কের অর্থের মায়া ত্যাগ করেছেন তিনি, ‘হ্যাঁ, এটা সত্যি যে আমি আমার বেতন থেকে বড় একটা অংশ কমিয়ে এসেছি। আমার আসলে পরিবর্তন দরকার ছিল। আমার এমন একটা জায়গায় যাওয়ার দরকার ছিল, যেখানে ফুটবল অনুশীলন করতে পারব। আমি সব সময়ই বলে এসেছি, এটাই আমার জন্য আদর্শ জায়গা। এখানে এসে সবকিছু ভালোই যাচ্ছে। আমাকে এখন আবারও খেলাটা উপভোগ করতে চেষ্টা করে যেতে হবে।’

খেলাটা উপভোগ করতে দল বদলেছেন ফেলিক্স
খেলাটা উপভোগ করতে দল বদলেছেন ফেলিক্স, ছবি: এএফপি

ফেলিক্স বেনফিকা থেকে আতলেতিকোয় যোগ দেন ২০১৯ সালে। তবে কোচ দিয়েগো সিমিওনে, ক্রীড়া পরিচালক আন্দ্রে বার্তার সঙ্গে সম্পর্কের তিক্ততায় এবং মাঠের খারাপ ফর্ম মিলিয়ে সেখানে সময়টা ভালো যাচ্ছিল না। এ বছরের শুরুতে ধারে চেলসিতেও গিয়েছিলেন। তবে সেখানেও ভালো সময় কাটেনি (২০ ম্যাচে মাত্র ৪ গোল)।

এ বছরের জুলাইয়ে এক সাক্ষাৎকারে বার্সেলোনায় খেলার ইচ্ছার কথা প্রকাশ করেন ফেলিক্স। তখনো পর্যন্ত বার্সা কোচ জাভি হার্নান্দেজের ভাবনায় তাঁর নাম ছিল না। প্রাক্‌-মৌসুম প্রস্তুতিতে আতলেতিকোর সঙ্গে ৩৩ হাজার কিলোমিটার ভ্রমণ করলেও একটি ম্যাচও খেলার সুযোগ পাননি। শেষ পর্যন্ত গ্রীষ্মকালীন দলবদলের শেষ দিনে বার্সায় ধারে পাঠানো হয় তাঁকে।

বার্সেলোনায় সময়টা উপভোগ করছেন ফেলিক্স
বার্সেলোনায় সময়টা উপভোগ করছেন ফেলিক্স, ছবি: এএফপি

‘ভালো না থাকলে যে কাউকেই স্থান পরিবর্তন করতে হয়। আমি চেলসিতে চেষ্টা করেছি, এখন বার্সেলোনায় চেষ্টা করছি। কারণ, আমি ওখানে (আতলেতিকোয়) ভালো বোধ করছিলাম না। আমি ক্লাবের খেলার ধরন এবং কোচের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছিলাম না। তবে আমি সব সময়ই নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী চেষ্টা করে গেছি’, বলছিলেন ফেলিক্স।

খেলা উপভোগ করতে চাওয়া ফেলিক্স বার্সেলোনায় এসেই তিন ম্যাচের দুটিতে শুরুর একাদশে জায়গা পেয়েছেন। করেছেন তিন গোলও। শুরুটা এত ভালো হবে বলে আশা করেননি এই ফরোয়ার্ড, ‘সত্যি কথা বলতে, এতটা ভালো শুরু আমি আশা করিনি। সবকিছু খুবই ভালোভাবে এগোচ্ছে। আশা করি, মৌসুমের শেষ পর্যন্ত এভাবেই চলবে।’

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.