গত বছর কান্ট্রি গার্ডেন বিক্রির দিক দিয়ে চীনের ১ নম্বর আবাসন প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। এর সম্পদের পরিমাণ ৬ হাজার ৭০০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে।
২০১৮ সাল থেকে হুইইয়ান প্রতিষ্ঠানটির সহচেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বাবার সঙ্গেই প্রতিদিন তিনি প্রতিষ্ঠান পরিচালনার কাজ করতেন।
গত বৃহস্পতিবার অর্থনৈতিক ডেটা সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান ব্লুমবার্গের ধনকুবেরদের তালিকা অনুসারে ৪১ বছরের হুইইয়ানের সম্পদ ৯২০ কোটি ডলার। এই তালিকা অনুসারে হুইইয়ান চীনের দ্বিতীয় শীর্ষ ধনী নারী। আর প্রথম স্থানে রয়েছেন লংফোর প্রোপার্টিজের প্রতিষ্ঠাতা ৫৯ বছরের উ ইয়াজুন। তাঁর সম্পদ ৯৭০ কোটি ডলার।
হুইইয়ানের সম্পদের মূল আয় এসেছে কান্ট্রি গার্ডেনে তাঁর বেশির ভাগ শেয়ার থেকে। ২০০৫ সালে হুইইয়ানের বাবা তাঁকে এই শেয়ার তাঁকে হস্তান্তর করেন।
চীনের আবাসন বাজারের ঐতিহাসিক মন্দার সময় হুইইয়ানের বাবা পদত্যাগ করেন। ২০২০ সাল থেকে আবাসন খাতে একের পর এক সংকটের মুখে পড়ে কান্ট্রি গার্ডেন। সে সময় উচ্চ ঋণের লাগাম টানতে আবাসন ব্যবসায়ীদের ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে লাগাম টানে বেইজিং কর্তৃপক্ষ।
চীনের দ্বিতীয় বৃহত্তম আবাসন প্রতিষ্ঠান এভারগ্রান্ডে এই সংকটে পড়ে ২০২১ সালের শেষ দিকে ঋণখেলাপি হয়। সে সময় থেকে অনেক আবাসন প্রতিষ্ঠান ঋণদাতাদের কাছে সুরক্ষার আবেদন করে।
গত বছর কান্ট্রি গার্ডেনের শেয়ারের দাম অর্ধেক পড়ে গেছে। আবাসন ব্যবসায় ক্রেতার আস্থা কমেছে। গত বছর হাজার হাজার বাড়ির ক্রেতা বন্ধকের অর্থ পরিশোধ করতে রাজি হয়নি। বাড়ির জন্য বাকি অর্থও পরিশোধে রাজি হননি তাঁরা।
আবাসন ব্যবসার এই সংকট স্থানীয় সরকারের অর্থায়নে প্রভাব ফেলেছে। কারণ, স্থানীয় সরকারের রাজস্ব আয় অনেকাংশে আবাসন খাতের বিক্রির ওপর নির্ভরশীল।
চীন সরকার এই শিল্প পুনরুদ্ধারে নীতি বদলেছে। আবাসন ব্যবসায়ীদের ঋণ নেওয়ার বিধিনিষেধ শিথিল করেছে। ঋণ বরাদ্দ শুরু করেছে। তবে এরপরও উন্নতি হয়েছে ধীরে।এই টানাপোড়েনের কারণে ইয়াং জিওকিয়াং পদত্যাগ করেন।
জিওকিয়াং-ই নন। নভেম্বর মাসে মর্ডান ল্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ঝাং লেই পদত্যাগ করেন। বেইজিংভিত্তিক জ্বালানি-সঞ্চয়কারী আবাসনের অন্যতম মডার্ন ল্যান্ড। এর আগে অক্টোবর মাসে লংফোর প্রোপার্টিজের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান উ ইয়াজুন স্বাস্থ্য ও বয়সের কারণে সরে দাঁড়ান।
তার ঠিক আগের মাসে অর্থাৎ সেপ্টেম্বরে প্যান সিয়ি ও তাঁর স্ত্রী ঝাং জিন বেইজিংভিত্তিক আবাসন প্রতিষ্ঠান সোহো চীনের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) পদ থেকে পদত্যাগ করেন।