শিক্ষক-সহপাঠীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকা আত্মহত্যা করেন।
শনিবার (১৬ মার্চ) বেলা ৩টায় কুমিল্লা সরকারি কলেজ মাঠে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়।
এ দিকে এ ঘটনায় দোষীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে অবন্তিকার নিজ জেলা কুমিল্লায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার দুপুরে অবন্তিকার মরদেহ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এর আগে বেলা ১২টায় কুমিল্লা নগরীর পূবালী চত্বরে সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন জোটের আয়োজনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তারা এ ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষীদের সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
দুপুরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৫০ জন শিক্ষার্থী ও ৩ জন শিক্ষকের সমন্বয়ে সহপাঠীরা অবন্তিকার বাড়িতে মরদেহ দেখতে কুমিল্লা আসেন। এ সময় তারা দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি করেন।
এ দিকে বেলা ৩টায় কুমিল্লা সরকারি কলেজ মাঠে প্রথম জানাজা ও বিকেল সাড়ে ৪টায় শাসনগাছা এলাকায় দ্বিতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে বাবার কবরের পাশে দাফন করা হয় অবন্তিকাকে।
এ সময় মেয়ে হত্যার বিচার দাবি করেন মা।
উল্লেখ্য, শিক্ষক-সহপাঠীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকা আত্মহত্যা করেন। গতকাল শুক্রবার রাত ১০টার দিকে কুমিল্লা সদরের বাগিচাগাও এলাকায় নিজ বাসায় গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ফাইরুজ অবন্তিকা। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আম্মান সিদ্দিকীকে দ্রুত গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে সহায়তাকারী ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক দ্বীন ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত ও প্রক্টরিয়াল বডি থেকে তাৎক্ষণিক অব্যাহতি প্রদান করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।