জয়ের সেঞ্চুরিতে দুর্দান্ত ড্র বাংলাদেশের

0
111
জয়ের সেঞ্চুরি

হার বাঁচাতে চতুর্থ ইনিংসে ৪৬১ রানের কঠিন চ্যালেঞ্জ। জিততে হলে চতুর্থ দিনে করতে হবে ৪১৪ রান। যেটি অসম্ভব জেনেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের বিপক্ষে ম্যাচ বাঁচানোর যুদ্ধে নেমেছিল টাইগাররা। যেই যুদ্ধে মাহমুদুল হাসান জয়ের সেঞ্চুরিতে মান বাঁচল টাইগারদের। ৪৬১ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩০৬ রান করে বাংলাদেশ। এরপর ম্যাচ ড্র হয়।

প্রথম ইনিংসে ৪৪৫ রান করে বাংলাদেশকে ২০৫ রানে গুটিয়ে দিয়েছিল ক্যারিবীয়রা। সুযোগ পেয়েও স্বাগতিকদের ফলোঅন করায়নি উইন্ডিজ ‘এ’ দল। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ত্যাগনারায়ন চন্দরপলের অপরাজিত ৮৩ রানে ৫ উইকেটে ২২০ রান তুলে স্বাগতিকদের সামনে ৪৬১ রানের টার্গেট ছুড়ে দেয়। স্পিনার সাইফ ৩টি ও নাসুম ২টি উইকেট তুলে নিলেও ক্যারিবীয়দের ইনিংসে তেমন একটা প্রভাব পড়েনি।

গতকাল দিনের শেষ সময়ে উইকেট না বিলিয়ে ৪৭ রানে দিন পার করেছেন মাহমুদুল হাসান জয় ও জাকির হাসান। চতুর্থ দিন তাদের এই জুটি ভেঙে যায় ৯৩ রানে। ৭ রানের জন্য ফিফটি করতে পারেননি জাকির। বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক এদিন থেমেছেন মাত্র ৫ রান করেই। ৩৮ রানে ফেরেন অধিনায়ক সাইফ হাসান। জয়ের সঙ্গে ৫৩ রানের জুটি গড়ে ফিরে যান তিনি।

এরপর ইয়াসিরকে নিয়ে দলের হাল ধরেন অর্ধশতক পূর্ণ করা জয়। ২২৩ বলে জয় পেয়ে যান সেঞ্চুরি, ইয়াসির ৫৮ বলে করেন হাফ সেঞ্চুরি। ৮৫ বলে ৬৭ রান করে এই মিডল অর্ডার ব্যাটার বিদায় নিলে জয়ের নতুন সঙ্গী হন তরুণ ব্যাটার দীপু। বাকি সময়টা তাকে নিয়েই কাটিয়ে দেন জয়। দিপু অপরাজিত থাকেন ২০ রানে। জয় ১১৪ রানের ম্যাচ বাঁচানো ইনিংসটিতে বল খেলেছেন ২৬৮টি। ছিল ১৪ বাউন্ডারির মার। ম্যাচসেরাও হয়েছেন বাংলাদেশি ওপেনার।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.