বান্দরবানের রুমা উপজেলায় সোনালী ব্যাংকে ডাকাতিতে শতাধিক ব্যক্তি অংশগ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বিকেলে র্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, রাত সোয়া ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় বিদ্যুৎ না থাকার বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। সন্ত্রাসী সংগঠন কেএনএফ এই হামলা চালায়।
খন্দকার আল মঈন বলেন, হামলাকারীরা পুলিশের ১০টি অস্ত্র ও আনসারের ৪টি অস্ত্র লুট করে। ব্যাংকের ম্যানেজার নেজাম উদ্দিন ভল্টের চাবি না দেওয়ায় তাকেও অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরের দিন তারা থানচিতে আরও দুটি ব্যাংকে হামলা চালিয়েছে।
তিনি বলেন, এই ঘটনার পরে তাদের সঙ্গে শান্তি আলোচনার পথ বন্ধ হয়ে গেছে। যা ইতোমধ্যে শান্তি কমিটি ঘোষণা করেছে। এখন সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চলমান রয়েছে।
এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, বান্দরবানে সশস্ত্র হামলা ও ব্যাংকে লুটপাটের ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, কুকি-চিনের আস্তানা র্যাব ও সেনাবাহিনী নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছিল। পরে তারা ভিন্ন কোনো দেশে আশ্রয় নিয়েছিল। এখন তারা কোথা থেকে আসছে, কীভাবে আসছে- মাঝে মাঝে তাদের প্রতিনিধি এসে আমাদের সঙ্গে কথা বলে। তারা বলতেছিল শান্তি চায়, এ এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য, অনেক কিছুই বলছিল। কিন্তু হঠাৎ করে আক্রমণ, হঠাৎ করে ব্যাংক ডাকাতি- আমাদের কাছেও এটা নতুন কোনো বিষয় মনে হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, ব্যাংকে ডাকাতি ছোট ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে না। কুকি-চিনকে কঠোরভাবে দমনে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তারা আলোচনার মধ্যে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।