
ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে লাগা আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল। তিনি বলেন, ‘আগুন আর বাড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। আমরা এখন শুধু নির্বাপণের কাজটা করে যাচ্ছি। আর আপনারা জানেন ডমেস্টিক ফ্লাইট কিন্তু অলরেডি চালু হয়ে গেছে।’
আজ শনিবার রাত সোয়া ১০টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সের সামনে সাংবাদিকদের এ কথাগুলো বলেন।
মুহাম্মদ জাহেদ কামাল বলেন, আগুন নেভাতে এসে সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল বাতাস। এখানে খোলা জায়গায় প্রচুর বাতাস ছিল। ফলে অক্সিজেনের একটা প্রাপ্তি সব সময় ছিল, যেটা আগুনকে জ্বালাতে সহায়তা করেছে। যে কারণে অনেক ওপরে পর্যন্ত ধোঁয়া দেখা গেছে। নিচে হয়তো আগুন অল্প ছিল। কিন্তু বাতাসের কারণে মনে হয়েছে অনেক বড় আগুন।
ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক বলেন, ‘কার্গো কমপ্লেক্সের ভেতরের জায়গাগুলো খোপ খোপ করা। এই খোপের মধ্যে আবার দেয়াল দেওয়া। ফলে প্রত্যেকটা খোপ পরিষ্কার করে করে আমাদের আগুন নেভাতে হয়েছে। খোলা জায়গায় কিছু কার্গো থাকে। সেগুলোতে খুব সহজেই আগুন ধরে গেছে। যেহেতু বাতাস ছিল, বাতাসের ফ্লোতে দ্রুত আগুনটা ছড়ায়। তবে এখন আগুন নিয়ন্ত্রণে আছে। দ্রুততম সময়ে চেষ্টা করেছি যাতে ইন্টারন্যাশনাল ফ্লাইট এবং ডমেস্টিক ফ্লাইট চালু করে দেওয়া যায়।’
কার্গো কমপ্লেক্সে কোনো রাসায়নিক ছিল কি না, জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক বলেন, এটা আগুন নির্বাপণ হলে বলা সম্ভব হবে। এখনই এটা বলা যাবে না।
আজ বেলা সোয়া দুইটায় আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের বাহিনীর ৩৭টি ইউনিট সেখানে কাজ করে। এই বাহিনীর পরিভাষায়, আগুন যখন ছড়ানো বন্ধ করা যায়, তখন বলা হয় নিয়ন্ত্রণে, পুরোপুরি নেভানো হলে বলা হয় নির্বাপণ।
শাহজালাল বিমানবন্দরের পোস্ট অফিস ও হ্যাঙ্গারের মাঝামাঝি স্থানে কার্গো ভিলেজ। আগুন লাগে আমদানির কার্গো কমপ্লেক্স ভবনে। এটির অবস্থান বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেটের পাশে। এই গেটকে হ্যাঙ্গার গেট বলা হয়।
আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে গেট আছে ৩টি। আগুন লাগে কমপ্লেক্সের উত্তর দিকে, ৩ নম্বর গেটের পাশে।