
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা আন্দোলন প্রত্যাহার করেছেন।
বাড়িভাড়া ভাতা মূল বেতনের ১৫ শতাংশ বাড়ানোর বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের পর শিক্ষক-কর্মচারীরা আজ মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।
এর আগে আজ অর্থ মন্ত্রণালয় বাড়িভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়। এরপর বাড়িভাড়া বাড়ানোর আদেশের কপি আন্দোলনকারী শিক্ষক নেতাদের হাতে তুলে দেন শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার।
সরকারের এই সিদ্ধান্তের পর বেলা দুইটার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ–প্রত্যাশী জোটের সদস্যসচিব দেলাওয়ার হোসেন আজিজী বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এখন থেকে আমাদের সব আন্দোলন ও কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হলো। আগামীকাল থেকে আমরা শ্রেণিকক্ষে ফিরছি।’
দেলাওয়ার হোসেন বলেন, সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ১৫ শতাংশ বাড়ানো হবে। এ সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকার আদেশ জারি করেছে। বাড়িভাড়া আগামী নভেম্বর থেকে সাড়ে ৭ শতাংশ (দুই হাজারের নিচে নয়), বাকি সাড়ে ৭ শতাংশ ২০২৬ সালের জুলাই থেকে কার্যকর হবে।
দেলাওয়ার হোসেন বলেন, আন্দোলন চলাকালে ৮ দিন তাঁরা শ্রেণি কার্যক্রমে অংশ নিতে পারেননি। তাই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বার্ষিক পরীক্ষার আগপর্যন্ত প্রতি শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখবেন।
আন্দোলনে সংহতি জানানোয় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলনসহ দেশের সব রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান দেলাওয়ার হোসেন আজিজী।
এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শিক্ষক-কর্মচারীদের আন্দোলনে সংহতি জানায় এনসিপির একটি প্রতিনিধি দল। সেখানে এনসিপির মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, যেখানে শিক্ষকদের বেতন রাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি হওয়া উচিত, সেখানে শিক্ষকেরা বেতন পান মাত্র সাড়ে ১২ হাজার। যতক্ষণ শিক্ষকদের দাবি পূরণ না হবে, ততক্ষণ এনসিপির নেতৃবৃন্দ শিক্ষকদের সঙ্গে শহীদ মিনারে অবস্থান নেবেন বলেও ঘোষণা দেন তিনি। সেখানে তাঁর সঙ্গে সারওয়ার তুষার, হান্নান মাসুদ, ফয়সাল মাহমুদ শান্ত ছিলেন।
বাড়িভাড়া বাড়ানোসহ তিন দফা দাবিতে গত ১২ অক্টোবর থেকে টানা আন্দোলন করে আসছিলেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা।