বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট, ভোগান্তিতে ক্রেতারা

0
7
বোতলজাত সয়াবিন তেল
কয়েক দিন ধরে বাজারে বোতলজাত সয়াবিনের সরবরাহ কম। বিশেষ করে এক ও দুই লিটারের বোতলের সরবরাহ নেই বললেই চলে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন ক্রেতারা।
 
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মিরপুর, মহাখালীর মুদি দোকানগুলো ঘুরে দেখা গেছে বোতলজাত সয়াবিন চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত নেই।
 
খুচরা বিক্রেতারা জানিয়েছেন, বাজারে কয়েকটি কোম্পানি ছাড়া অন্য ব্র্যান্ডের বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না। যা পাওয়া যাচ্ছে, তা পর্যাপ্ত নয়।
 
কারওয়ান বাজারের এক মুদি দোকনি বলেন, দুই সপ্তাহ ধরে চাহিদামতো বোতলজাত সয়াবিন তেল পাচ্ছি না। মানুষের প্রথম চাহিদা থাকে তেল। সেটা যদি না দিতে পারি, তাহলে অন্য মালামাল বিক্রি করতেও সমস্যা পোহাতে হয়। মূলত দাম বাড়াতেই কোম্পানি ও ডিলাররা মিলে এমন কারসাজি করছে।
 
বাজারে তেল কিনতে আসা আসিফ বলেন, কয়েকটি দোকানে গিয়ে বোতলজাত সয়াবিন তেল পাইনি। কিছু দোকানে পাওয়া গেলেও বিক্রি করছে না।
 
সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে, খুচরা পর্যায়ে খোলা সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৪-৫ টাকা ও পাম তেলের দাম ৩-৪ টাকা কমেছে। বর্তমানে এক লিটার খোলা সয়াবিন ১৬৫-১৬৮ টাকা এবং এক লিটার খোলা পাম তেল ১৫৭-১৫৯ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যদিও এক মাস আগের তুলনায় খোলা পাম ও সয়াবিনের দাম এখন বেশি।
 
গত নভেম্বরেও বাজারে বোতলজাত সয়াবিনের সংকট তৈরি হয়। পরে সরকার ভোজ্যতেল আমদানিতে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করে। পরে ভোজ্যতেল পরিশোধনকারী কোম্পানিগুলো বোতলজাত তেলের সরবরাহ বাড়ায়। গত তিন-চার দিনে তা আবার কমেছে।
 
এ বিষয়ে ভোজ্যতেল পরিশোধনকারী কোম্পানিগুলোর কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.