সরকার গত দু’দিনে প্রায় ৫০ হাজার টন আলু আমদানির অনুমতি দিলেও বাজারে পণ্যটির দাম কমছে না। আগের মতোই ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে পুরোনো আলু। তবে রাজধানীর বাজারে এসেছে কিছু পরিমাণ নতুন আলু। বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা কেজি দরে।
দুই-তিন মাস ধরে আলুর বাজারে এক ধরনের অস্থিরতা চলছে। দাম অস্বাভাবিক বাড়ায় মাস দেড়েক আগে সরকার খুচরায় প্রতি কেজি আলুর দাম ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা নির্ধারণ করে দেয়। এরপর নানা পদক্ষেপেও পণ্যটির দাম কমেনি। দাম নাগালে রাখতে সর্বশেষ গত সোমবার আলু আমদানির অনুমতি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, গতকাল বুধবার পর্যন্ত ৭৭টি আবেদনের বিপরীতে ৪৯ হাজার ৭৫৫ টন আলু আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। আমদানির অনুমতি দেওয়ার পাশাপাশি গত মঙ্গলবার সারাদেশে হিমাগার পর্যায়ে আলুর দর ২৬ থেকে ২৭ টাকা কার্যকর করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তবে আমদানির অনুমতি কিংবা হিমাগার পর্যায়ে বেঁধে দেওয়া দরের কোনো প্রভাব পড়েনি বাজারে। গতকাল ঢাকার খুচরা বাজারে সাদা আলু ৬০ থেকে ৬৫ টাকা এবং হালকা লালচে আলু ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়।
নতুন আলুর দাম অবশ্য বেশি। এক কেজি নতুন আলু কিনতে গুনতে হচ্ছে ১৫০ টাকা। যদিও ব্যবসায়ীরা বলছেন, দুই দিন আগে এর চেয়ে বেশি দরে তারা নতুন আলু বিক্রি করেছেন।
মানিকগঞ্জে বেড়েছে আলু-পেঁয়াজের দাম
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, তিন দিনের ব্যবধানে সেখানে আলুর দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা এবং পেঁয়াজের দাম ৩০ টাকা। গতকাল জাগীর পাইকারি আড়তের ব্যবসায়ী একাব্বর আলী জানান, তিনি ভারতীয় পেঁয়াজ প্রতি কেজি ১১৫ থেকে ১১৮ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ ১১৫ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি করছেন।
একই আড়তের আলু ব্যবসায়ী চাঁন মিয়া জানান, রংপুর থেকে আড়তে আনতে প্রতি কেজি আলুর কেনা দর পড়ছে ৫০ টাকা। তিনি জানান, বিএনপির হরতাল-অবরোধের কারণে উত্তরবঙ্গ থেকে দুই দিন আলু আসেনি। আজ-কালের মধ্যে আলুর গাড়ি না এলে দাম আরও বাড়তে পারে।