বাকি সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য একসঙ্গে নিয়োগ দেওয়া হবে: শিক্ষা উপদেষ্টা

0
56
অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ

শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, বাকি সব বিশ্ববিদ্যালয়ে একই সঙ্গে উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হবে, পুরোনো পাঠ্যপুস্তকে শিক্ষাক্রম চলবে, এতে পরীক্ষাপদ্ধতি থাকবে। শিগগিরই এ বিষয়ে পরিপত্র জারি করা হবে। একই সঙ্গে চর দখলের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দখল হচ্ছে বলে মন্তব্য করে বলেন, এ জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

আজ শনিবার নিজ বাসভবনে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রশাসনিক পদে দলীয়করণ, অবকাঠামো তৈরিতে দুর্নীতি, পাঠ্যপুস্তক ছাপানোসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তিনি কথা বলেন।

উপাচার্যসহ বিভিন্ন পদে নিয়োগ

দেশে ৫০টির বেশি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৪০টির বেশি এখন অভিভাবকহীন উল্লেখ করে শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে যে শুধু উপাচার্যের পদ খালি আছে, তা নয়। উপ–উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষসহ অনেক প্রশাসনিক পদ খালি পড়ে আছে। আগে এই পদগুলো এতটাই দলীয়করণ করা হয়েছে, শূন্যপদগুলো পূরণের জন্য কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না। উচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা আছে, প্রশাসনিক দক্ষতা আছে, বৈশ্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে যোগ্য—এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এর মানে এই এই নয় যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উচ্চমানের গবেষক-শিক্ষক নেই। দলীয় সংস্কৃতির কারণে যোগ্য অনেকে নীরবে কাজ করে যাচ্ছেন; কিন্তু তাঁরা আবার বৃহত্তর শিক্ষক সমাজের সঙ্গে যোগাযোগ নেই, এটাও একটা সমস্যা।

বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামো তৈরিতে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে উল্লেখ করে অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর অবকাঠামো তৈরির ক্ষেত্রে দুর্নীতির চক্র তৈরি হয়েছে। রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় ঠিকাদারদের একটা দুর্ধর্ষ শ্রেণি তৈরি হয়েছে, যারা রীতিমতো ভীতিকর। এই সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য একটা পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক যোগ্য শিক্ষককে ট্রেজারার নিয়োগের প্রস্তাব দেওয়ার পর তাঁরা দায়িত্ব নিতে ভয় পাচ্ছেন।

উপাচার্যসহ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন প্রশাসনিক পদে যোগ্যদের খুঁজে দায়িত্ব দেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান আছে বলে উল্লেখ করে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘আমার কাছে শত শত সুপারিশ আসছে নানা দিক থেকে। আমি আমার মতো যোগ্য, যাদের পদায়ন করা যায়, বিভিন্নভাবে খোঁজার চেষ্টা করছি। আশা করি যে অচিরেই আমরা অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ দিতে পারব। আবার  ইউজিসির চেয়ারম্যানের পদও শূন্য হয়ে আছে। সেটার জন্য বেসরকারি খাতের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে পরিচালনার ক্ষেত্রে একটা অভিভাবকশূন্যতা দেখা দিয়েছে। এখানে আমরা অতি দ্রুত সবার কাছে গ্রহণযোগ্য দু–একজন মানুষকে নিয়োগ দেওয়ার প্রস্তাব করছি।’

বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক পদে যাঁদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, তাঁদের প্রতিদ্বন্দ্বী না ভাবার জন্য অন্য শিক্ষকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘যাঁদের নিয়োগ (প্রশাসনিক পদে) দেওয়া হচ্ছে, তাঁদের প্রতিদ্বন্দ্বী ভাববেন না। কারণ এঁদের অনেকেই কিন্তু পরে নির্বাচনে প্রার্থী হবেন না। তাঁদের অনেক অনুরোধ করে এখানে (প্রশাসনিক দায়িত্ব দেওয়া) আনা হচ্ছে, একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাঁরা সক্রিয় আছেন, জানাশোনা আছেন, তাঁদেরও মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে। আমি আশা করি, সবকিছু মিলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আবার শান্তিপূর্ণভাবে চালু হবে, শিক্ষাক্রম চালু হবে।’

বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সাময়িকভাবে উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘একটা কথা মনে রাখতে হবে যে যেসব উপাচার্যকে এসব পদে নিয়োগ দিচ্ছি, সেখানে কিন্তু প্রধান প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়, স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নিজেদের একটা নিয়ম আছে, সিনেটের মাধ্যমে এবং নানা প্রক্রিয়ায় উপাচার্য নিয়োগ হন। এই পদ্ধতি তো চালু থাকবেই। প্রশ্ন উঠতে পারে, এখন আমরা নিয়োগ দিচ্ছি কীভাবে? আসলে পুরো পদ্ধতি গ্রহণেরও তো সময় নেই। আমাদের তো বিশ্ববিদ্যালয়গুলো চালু করতে হবে। কাজেই এটা সাময়িকভাবে নিয়োগগুলো দিতে হচ্ছে। পরবর্তী সময়ে নিশ্চয়ই নিয়মানুগভাবে সব কিছু হবে। এখন তো পুরো প্রক্রিয়ায় যাওয়ার সুযোগ নেই।’

‘চর দখলের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দখল হচ্ছে’

দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দখলদারি চলছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘আমরা লক্ষ্য করছি, স্কুল–কলেজ থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে চর দখলের মতো দখলদারি প্রতিষ্ঠার একটা অরাজকপূর্ণ বা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। শিক্ষকেরা অপমানিত ও লাঞ্ছিত হচ্ছেন। তাঁদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। জোর করে তাঁদের পদত্যাগে বাধ্য করা হচ্ছে। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে শিক্ষকেরা ব্যক্তিগত স্বার্থে ছাত্রদের ব্যবহার করছেন, সেটা খুবই দুঃখজনক। এটা খুবই অনভিপ্রেত একটি বিষয় এবং এটা যে শুধু শিক্ষাঙ্গনের পবিত্রতা ও ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর তা–ই নয়, কোনো কোনো ক্ষেত্রে এটা ফৌজদারি অপরাধও।’

এ ধরনের দখলদারি রোধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছি, যেন এ ধরনের পরিস্থিতির জন্য যথাযথ প্রতিকার এবং যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। বড় দলগুলোর নেতৃস্থানীয় যাঁরা আছেন, তাঁদের অনুরোধ করেছি, তাঁদের অঙ্গসংগঠনগুলোকে এ ধরনের কাজ থেকে নিবৃত্ত করার জন্য। তারা এ ব্যাপারে কথা দিয়েছেন। এ ছাড়া আমাদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা আছেন, তাঁরাও এ ব্যাপারে সারা দেশব্যাপী আহ্বান জানাচ্ছেন।’

গত ১৫ বছরে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনেক দুর্নীতি, অনাচার, অনিয়ম হয়েছে জানিয়ে শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, ‘অনেক বড় বড় দুর্নীতি হয়েছে; কিন্তু সেগুলোর বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে গেলে, প্রতিকার করতে গেলে নিয়মমাফিকভাবে এগোতে হবে। বিশৃঙ্খলা করেতো লাভ হবে না। শুধু স্কুল-কলেজ নয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে জড়িত অনেকগুলো অধিদপ্তর আছে, যেখানে বহুদিন ধরে দুর্নীতি হচ্ছে। একটা অপরাধের চক্র তৈরি হয়েছে। আগামী বছরের পাঠ্যপুস্তক ছাপাতে অতি শিগগির দরপত্র দিতে হবে। সেটার জন্য যে দ্রুত কাজ করতে হবে, সেখানেও একটা বিরাট বাণিজ্য হয়ে আছে। এখন এগুলোকে যত দূর সম্ভব প্রতিকারের জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছি। আশা করি, আস্তে আস্তে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে।’

পুরোনো শিক্ষাক্রমে ফিরে যাওয়া নিয়ে যা বললেন উপদেষ্টা

জাতীয় শিক্ষাক্রম পুরোনো পাঠ্যক্রমে ফিরে যাচ্ছে কি না, জানতে চাইলে শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘শিক্ষাক্রমে নীতিগতভাবে আমরা দেখেছি যে এখন যে শিক্ষাক্রম ২–৩ বছর আগে থেকে চালু আছে, এতে সর্বসম্মতিক্রমে  ছাত্র-ছাত্রীদের পিতা-মাতাদের থেকে খবর পাচ্ছি যে এগুলো আমাদের উপযোগী না। এটা শিক্ষাক্রম বিদেশি ধ্যানধারণা থেকে হঠাৎ করে আনা হয়েছে। আমাদের শিক্ষকদের যে যোগ্যতা এবং আমাদের যে শিক্ষণপদ্ধতি, এটাতে এগুলো বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। আবার আমাদের পাঠ্যক্রম চালু রাখতে হবে। আগামী বছরে আবার নতুন পুস্তক দিতে হবে। তাঁর জন্য এক সপ্তাহ বা ১০ দিনের মধ্যে এগুলো প্রেসে না দিই, বাংলাদেশে যত প্রেস আছে, ২৪ ঘণ্টা কাজ করলেও সেগুলো যথাসময়ে পাওয়া যাবে না। এ কারণে আমরা ন্যূনতমভাবে আগের শিক্ষাক্রমে ফিরে যাচ্ছি, যেখানে শিখনপদ্ধতিও ছিল, পরীক্ষার ব্যবস্থাও ছিল। সেখানে আপাতত সেই পাঠ্যক্রমগুলো, সেই পাঠ্যপুস্তকগুলো ফিরিয়ে আনছি। যারা ইতিমধ্যে নতুন পাঠ্যক্রমে ঢুকে গেছেন। তাঁদের কোনো অসুবিধা হবে না। আমি নবম শ্রেণির কথা বলছি। নবম শ্রেণিতে অনেক দূর নতুন পাঠ্যক্রমে পড়াশোনা হয়ে গেছে, তাঁদের মূল্যায়নও এভাবে হয়ে গেছে। বাকি কয়েক মাস আছে। এই  কয়েক মাসে অন্তত একটা ছকের মধ্যে এনে, খুব দ্রুত একটা গবেষণা করে, যারা শিক্ষাবিদ আছেন, যে বইগুলো আছে, এর ভিত্তিতেই একটা  কিছু করা হবে। অন্তত তারা পরীক্ষা দিক। পরীক্ষা না দিলে তো আমাদের দেশে যে শিক্ষাব্যবস্থা তা দিয়ে মূল্যায়ন সঠিকভাবে হবে না। এ ব্যবস্থায়  দশম শ্রেণিতে এসে বাণিজ্য বিভাগ, মানবিক বিভাগ বা বিজ্ঞান বিভাগ বেছে নেওয়ার যে ব্যবস্থা তাতে ফিরে যাচ্ছি।’

শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘এটা এই নয় যে কোনো একটা শিক্ষাক্রমকে বাতিল করে দিচ্ছি, আরেকটা পাঠ্যক্রমকে গ্রহণ করছি। এখন আমাদের সময় নেই, সে জন্য আমরা এ ব্যবস্থাগুলো করছি; কিন্তু আগামী বছরও সারা বছর ধরে কিছু পরিপত্র জারি করে কিছুটা যে দুর্বলতাগুলো আগের শিক্ষাক্রমে আছে, সেগুলোকে সংশোধন করার চেষ্টা করব। অবশ্যই তা বাস্তবায়নযোগ্য হতে হবে। কোনো কারিকুলাম বাতিল করছি না, কোনো পুরোনো কারিকুলামেও ফেরত যাচ্ছি না। এই মুহূর্তে আমার পাঠ্যপুস্তক ছাপাতে হবে। সেই জন্য আমি আগের পাঠ্যপুস্তকে ফিরে যাচ্ছি। এর মানে নয় যে আগের কারিকুলামে ফেরত যাচ্ছি বা নতুন কারিকুলাম বাতিল হয়ে গেল। এই কারিকুলাম ভেতরেও কিছু কিছু ভালো জিনিস ছিল। আমরা তো আগামী বছরজুড়ে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে বসে মাঝে মাঝে পরিপত্র জারি করে যতটুকু সংশোধন করা যায় তা করব।’

নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, ‘ছাত্রছাত্রীদের (নবম) আমি আশ্বাস দিচ্ছি, তাঁরা একভাবে পড়ে ফেলেছে। বাকি কয়েক মাস আছে। কাজেই তাঁদের দশম শ্রেণিতে এসে যদি বিশেষায়িত বিভাগ বিজ্ঞান, মানবিক শাখা বা বাণিজ্য শাখা, বিশেষায়িত বিষয়গুলো নিতে হয়, সেটা তাঁদের তাঁরা নিজেরাই বাছাই করতে পারবে। তারপরও তাঁদের শিক্ষণে একটি ঘাটতি থাকবে। কারণ নবম শ্রেণি তো চলে গেছে। আমি শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে দেখেছি, তাঁরা যে পাঠ্যপুস্তক আসছে, সেগুলো প্রথম দিকে তাঁরা চালিয়ে যেতে পারবেন। শিক্ষার্থীদের কোনো অসুবিধা হবে না।’

অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এ সময় আরও বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষা ও গণশিক্ষার আরেকজন উপদেষ্টা আছেন। তাঁর সঙ্গে বিষয়টি সমন্বয় করতে হচ্ছে। যদিও শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকেই আগামী বছরের জন্য কী শিক্ষাক্রম করছি, সেটা পরিপত্র তৈরি হচ্ছে। যখন পরিপত্র জারি হবে এবং স্কুলে পাঠিয়ে দেওয়া হবে, তখন বিভ্রান্তি থাকবে না। প্রথম থেকে দশম পর্যন্ত ঠিক কীভাবে থাকবে, এখন মুখস্থ বলতে পারছি না। এটুকু বলতে পারি, এমনভাবে সাজানো হয়েছে, কোথাও কোনো গ্যাপ তৈরি না হয়। সব ছাত্রই এক শ্রেণি থেকে অন্য শ্রেণিতে যেতে পারবে, অসুবিধা হবে না।’

নতুন বছরে বইয়ের ছাপার মান কেমন হবে জানতে চাইলে শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘জানুয়ারি মাসে সব (বই) দিতে পারব না। চেষ্টা করছি এবং অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে, কিছু প্রয়োজনীয় বই দিলে পাঠ্যক্রম শুরু করা যায়। এটা ঠিক যে তাড়াহুড়া করে আমি বইয়ের মান নষ্ট করতে চাই না। এই বিষয়ে যাঁরা দায়িত্বপ্রাপ্ত, তাঁদের বলেছি, বইয়ের ছাপা বইয়ের যে কাগজ—এগুলোর মান আগের থেকে ভালো হতে হবে।’

সিন্ডিকেট করে বই ছাপার বিষয়ে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘বই ছাপার ব্যাপারে যে বড় দুর্নীতি হতো, সেটা সাশ্রয় করলেও আপনারা (মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন) অনেক বেশি অর্থ পেয়ে যেতে পারেন। সেখান থেকেও পাঠ্যপুস্তকের বইয়ের মান বাড়ানো যেত। তারপরও যদি ঘাটতি থাকে, অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হবে। ভালো পাঠ্যপুস্তক করার চেষ্টা করব।’

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.