স্যাম বিলিংস, অ্যালেক্স হেলস এবং লিয়াম ডওসন ইংল্যান্ডের হয়ে কেবল সাদা বলের ক্রিকেটই খেলেন। অ্যালেক্স হেলস ২০১৯ সালের বিশ্বকাপ দলে ছিলেন। কিন্তু শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে দল থেকে বাদ পড়েন। এরপর অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত টি-২০ বিশ্বকাপ দিয়ে তাকে দলে ফেরানো হয়।
আরেকটি বিশ্বকাপ যখন আসন্ন তখন বাংলাদেশ সফরে না এসে পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। জনি বেয়ারস্টো ইনজুরিতে থাকায় স্যাম বিলিংসের দলে জায়গা পাকা করার সুযোগ ছিল। ওই সুযোগ না নিয়ে তিনিও পিএসএলে গিয়েছিলেন। যদিও ইনজুরি নিয়ে দেশে ফিরেছেন তিনি।
লিয়াম ডওসনও একই কাজ করেছেন। ভারতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড দলে বা একাদশে মঈন আলী থাকবেন নাকি স্পিন অলরাউন্ডার লিয়াম ডওসন থাকবেন সেটা বড় প্রশ্ন। শুধুমাত্র বিশ্বকাপ চিন্তায় মঈন বিপিএলে খেলেছেন এবং বাংলাদেশে ওয়ানডে সিরিজও খেলছেন। পিএসএল ছেড়ে দিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে কঠিন কন্ডিশন জয় করে ডেভিড মালান ১১৪ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেছেন। দলকে এনে দিয়েছেন ৩ উইকেটের জয়। তার ব্যাটিং বুঝিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ সফরের পারফরম্যান্স গুরুত্ব সহকারে বিবেচনায় নেওয়া হবে।
ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম দি টেলিগ্রাফ ওই প্রশ্নই তুলেছে। তারা প্রথম ওয়ানডে জয়ের পর এক শিরোনামে লিখেছে, ‘বাংলাদেশ সফর পায়ে ঠেলা ক্রিকেটাররা আফসোসে ভুগবে।’ ডেপুটি ক্রিকেট করসপনডেন্ট টিম উইগমোরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে না আসায় কোন ক্রিকেটারকে বৈষম্যের দৃষ্টিতে দেখবে না ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড। কিন্তু এই কন্ডিশনে খেলার সুযোগ হারানোয় তারা পরে আফসোস করবেন।
বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজে ওপেনার হিসেবে ফিল সল্টকে খেলাচ্ছে ইংল্যান্ডের টিম ম্যানেজমেন্ট। জেমন্স ভিন্সি চারে ব্যাটিং করছেন। স্পিন অলরাউন্ডার উইল জ্যাক তার গুরুত্ব বুঝিয়েছেন। বাংলাদেশ সফরে না এসে ক্রিকেটাররা যত পাচ্ছে তার চেয়ে বেশি হারাতে পারে বলেই উল্লেখ করেছেন টিম উইগমোর।