প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। মঙ্গলবার ভারতের পার্লামেন্টে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। খবর: এনডিটিভি
বৈঠকে অংশ নেন ক্ষমতাসীন দলের নেতা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ শিং, সংসদীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু, বিরোধী নেতা রাহুল গান্ধী ও মল্লিকার্জুন খাড়গে।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় ভারতের পার্লামেন্টে এই বৈঠক ডাকা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। জয়শঙ্কর বাংলাদেশের পরিস্থিতি ও সংঘর্ষ নিয়ে ব্রিফ করেছেন। বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ শিং ও সংসদীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজুও উপস্থিত ছিলেন।
জয়শঙ্কর বলেছেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতির ওপর গভীর নজর রাখছে ভারত।
প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের পর শেখ হাসিনা সোমবার দুপুরে একটি সামরিক হেলিকপ্টারে বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন। তিনি ভারত থেকে পরে লন্ডনে চলে যাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। যুক্তরাজ্যে তিনি রাজনৈতিক আশ্রয় চাইতে পারেন।
ইন্ডিয়া টুডের তথ্য অনুযায়ী, নয়াদিল্লির গাজিয়াবাদে সেনাবাহিনীর হিন্ডন এয়ারবাসে স্থানীয় সময় ৫টা ৩৬ মিনিটে অবতরণ করে শেখ হাসিনার বিমান। ভারতের সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা তাকে স্বাগত জানান। সেখান থেকে লন্ডনের উদ্দেশে রওনা দেবেন তিনি।
নিউজ এইটিন বলছে, শেখ হাসিনার ছোট বোনা শেখ রেহানা যুক্তরাজ্যের নাগরিক। রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির সংসদ সদস্য। যে কারণে তারা যুক্তরাজ্যে যেতে পারেন।
ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার জানায়, সদ্য পদত্যাগ করা শেখ হাসিনা ভারতে কোনো রাজনৈতিক আশ্রয় চাননি। প্রথমে শোনা গিয়েছিল, সোমবার রাতেই তিনি লন্ডনে রওনা হবেন।
তবে শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার বিষয়ে বৃটিশ সরকারের পক্ষ থেকে এখনও কোনো বার্তা পাওয়া যায়নি।