বাংলাদেশিদের জন্য আজ থেকে সৌদি আরবের ই-ভিসা চালু

0
110
ঢাকায় সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান আজ সোমবার দুপুরে তাঁর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশিদের জন্য ই-ভিসা চালুর কথা জানান

বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য সৌদি আরব যাত্রা সহজতর করতে আজ ১ মে থেকে ই-ভিসা বা ইলেকট্রনিক ভিসা চালু করেছে মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ দেশটি। সৌদি আরবের নতুন ই-ভিসা ব্যবস্থা চালুর পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে বাংলাদেশকে দিয়ে এই কার্যক্রমের সূচনা হলো।

আজ সোমবার দুপুরে ঢাকায় সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান তাঁর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

সৌদি রাষ্ট্রদূত বলেন, এক বছর ধরে পবিত্র হজ পালনকারীদের জন্য ই-ভিসা চালু ছিল। এখন থেকে কাজ, ভ্রমণ ও থাকাসহ সব ধরনের কর্মকাণ্ডে সৌদি আরব যেতে হলে কাগজের ভিসার পরিবর্তে ই-ভিসা পুরোদমে চালু হলো। সৌদি আরব পুরো ভিসাপ্রক্রিয়াটি যান্ত্রিকভাবে সম্পন্ন করতে চায়। আশা করা হচ্ছে, এর মধ্য দিয়ে ভিসাপ্রক্রিয়া সহজতর হবে।

ই-ভিসা সাশ্রয়ী ও সহজতর—তা বোঝাতে রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান বলেন, ভিসা স্টিকার খরচ সাপেক্ষ এবং এখানে ভুল হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ই-ভিসা চালুর ফলে এখন থেকে এফোর সাইজের কাগজে ভিসা প্রিন্ট করে দেওয়া হবে। কাগজের নিচের অংশে একটি বারকোড থাকবে। ওই বারকোডে ভিসা যিনি পেয়েছেন, তাঁর সব তথ্য সন্নিবেশিত থাকবে। নতুন ব্যবস্থার কারণে শ্রমিক, চাকরিদাতা, মেডিকেল সেন্টারের কর্মীসহ অন্য সবাই উপকৃত হবেন বলে মনে করেন রাষ্ট্রদূত।

রাষ্ট্রদূত জানান, আগে ভিসা স্টিকারে শুধু আরবি ভাষায় তথ্য লেখা থাকত। কিন্তু ই-ভিসা চালুর পর তা আরবি ও ইংরেজি দুই ভাষায় থাকবে। এর ফলে বাংলাদেশিরা সহজে বুঝতে পারবেন ভিসা কত দিনের জন্য এবং কোন শ্রেণিতে আবেদনকারী ভিসা পেলেন।

দালালদের দৌরাত্ম্যের কারণে শ্রমিক, চাকরিদাতা ও কর্তৃপক্ষ সমস্যায় পড়ে উল্লেখ করে সৌদি রাষ্ট্রদূত বলেন, দালালেরা শ্রমিকদের মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে টাকা সংগ্রহ করেন। কিন্তু এর জন্য শ্রমিক বা চাকরিদাতা কেউই দায়ী নয়; বরং এর জন্য দায়ী দালাল শ্রেণি।

সৌদি যাত্রার আগে শ্রমিকদের নিজেদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করার জন্য জনশক্তি রপ্তানিকারকদের অনুরোধ জানান রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, শ্রমিকেরা যাওয়ার আগে যেন জানেন, তাঁদের বেতন কত এবং কোথায় কীভাবে কাজ করবেন।

দালাল বা মধ্যস্বত্বভোগীদের সঙ্গে দূতাবাসের যোগসাজশের অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান বলেন, ‘অনেক সময় শ্রমিকদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়। তাঁদের বলা হয়, সৌদি দূতাবাস টাকা নেয়। আমি বলতে চাই, এমন অভিযোগ একেবারে মিথ্যা।’

সৌদি আরবে এই মুহূর্তে কোনো ফ্রি ভিসা দেওয়া হয় না উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, শ্রমিকদের নির্দিষ্ট কাজের জন্য ভিসা দেওয়া হয়। এ ছাড়া শ্রমিক ভিসার মেয়াদ দুই বছর।

সংবাদ সম্মেলনে জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) মহাপরিচালক শহীদুল আলম বলেন, বাংলাদেশ থেকে যেসব কর্মী সৌদি আরব যান, তাঁরা আরবি ভাষা পড়তে পারেন না। এজেন্সি থেকে ভিসা নিয়ে তাঁরা আসলে বুঝতে পারেন না, এটা কোন প্রকার ভিসা। সে কারণে ভিসায় ইংরেজি বা বাংলা ভাষা থাকলে সুবিধা হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.