মুসলমানদের বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ উদযাপিত হবে জিলহজ মাসের ১০ তারিখে। তবে এর আগে চাঁদের স্থানাঙ্ক হিসাব জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, শুক্রবার (৭ জুন) বাংলাদেশের আকাশে জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার কথা। সেক্ষেত্রে দেশে আগামী ১৭ জুন ঈদুল আজহা উদযাপিত হতে পারে।
আবহাওয়াবিদ নাইমা বাতেন স্বাক্ষরিত জিলহজ মাসের চাঁদের স্থানাঙ্ক বিবরণীতে বলা হয়েছে, আগামী ৬ জুন (বৃহস্পতিবার) বাংলাদেশ মান সময় সন্ধ্যা ৬টা ৩৮ মিনিটে অমাবস্যা শেষ হয়ে ১৪৪৫ হিজরি সনের জিলহজ মাসের নতুন চাঁদের জন্ম হবে। ওই দিন ৬টা ৪৪.১ মিনিটে সূর্যাস্তের সময় চাঁদের বয়স হবে ০.০০৪২ দিন এবং সান্ধ্যকালীন গোধূলি শেষ হওয়ার ২২ মিনিট আগে চন্দ্রাস্ত হবে।
পরের দিন শুক্রবার (৭ জুন) ৬টা ৪৪.৫ মিনিট সূর্যাস্তের সময় চাঁদের বয়স হবে ১.০০৪৫ দিন এবং সান্ধ্যকালীন গোধূলি শেষ হওয়ার ৪১.৯ মিনিট পর চন্দ্রাস্ত হবে। ওই দিন বিকেল ৪টা ১৫.৬ মিনিটে প্রতিপদ শেষ হয়ে দ্বিতীয়া শুরু হবে।
পরের দিনে শনিবার (৮ জুন) ৬টা ৪৪.৮ মিনিটে সূর্যাস্তের সময় চাঁদের বয়স হবে ২.০০৪৮ দিন এবং সান্ধ্যকালীন গোধূলি শেষ হওয়ার এক ঘণ্টা ৩৮.১ মিনিট পর চন্দ্রাস্ত হবে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
শুক্রবার (৭ জুন) ঢাকায় চাঁদ দেখার নির্ধারিত সময় সন্ধ্যা ৭টা ৫ মিনিট থেকে ৭টা ৫২ মিনিট পর্যন্ত বলেও জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে জানা গেছে, ঈদুল আজহা উদযাপনের তারিখ নির্ধারণে আগামী শুক্রবার মাগরিবের নামাজের পর রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে সভায় বসবে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি। ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খানের সভায় সভাপতিত্ব করার কথা রয়েছে। সেখানে চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী, চান্দ্র মাস শুরু হাওয়ার ক্ষেত্রে খালি চোখে চাঁদ দেখার শর্ত রয়েছে।
তবে কোনো কারণে শুক্রবার চাঁদ দেখা না গেলে সেক্ষেত্রে শনিবার জিলকদ মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হবে। জিলহজ মাস শুরু হবে রোববার (৯ জুন), সেক্ষেত্রে দেশে ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে আগামী ১৮ জুন (মঙ্গলবার)।