বাংলাদেশ দলকে ডাকা হয় টাইগার বলে। ইংল্যান্ড দলকে বলা হয় থ্রি লায়ন্স। ওই হিসেবে বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড সিরিজকে ‘বাঘ-সিংহের’ লড়াই বলা চলে। ২০১৫ বিশ্বকাপের পর থেকে দুই দলের ম্যাচ পেয়েছে বাড়তি আলো।
বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে বিদায় করে প্রথমবার নকআউটে যাওয়ার পর ২০১৬ সালে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডকে ওয়ানডে সিরিজে হারিয়েছে বাংলাদেশ। সাত বছর পর দ্বিপাক্ষিক সিরিজে আবার মুখোমুখি হচ্ছে দুই দল। এবারের সিরিজ ঘিরেও আছে উচ্ছ্বাস।
মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে বুধবার দুপুর ১২টায় শুরু হতে যাওয়া ম্যাচে আলো থাকবে বাংলাদেশ দলের দুই সিনিয়র ক্রিকেটার তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসানের দিকে। তামিম সর্বশেষ ভারতের বিপক্ষে সিরিজে ছিলেন না। বিরতি দিয়ে সেরা ছন্দ দেখানোর পালা তার। সাকিব-তামিমের দ্বন্দ্বের যে খবর বেরিয়েছে তার জন্যও দু’জন পাবেন ভক্তদের বাড়তি মনোযোগ।
এর বাইরে বাংলাদেশ দলে থাকা তাইজুল ইসলামে থাকবে আলো। ইংল্যান্ড সিরিজের জন্য নির্বাচকদের থেকে অধিনায়ক তামিম ইকবাল নাকি চেয়ে নিয়েছেন তাকে। মিরপুরের উইকেটে আর্ম স্পিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বাঁ-হাতি স্পিনাররা সুবিধা পান বেশি। ওই চিন্তায় দলে তাইজুল। মঙ্গলবার হেড কোচ হাথুরুসিংহে এবং স্পিন বোলিং কোচ রঙ্গনা হেরাথের সঙ্গে দীর্ঘ সময় কাজও করেছেন তিনি। তাইজুল খেললে তার ভালো-খারাপ পারফরম্যান্সের ওপর নির্ভর করতে পারে ম্যাচের ফল।
ইংল্যান্ড দলের মধ্যে আলো থাকবে মঈন আলীর ওপর। বিপিএল খেলায় দলের অন্যদের চেয়ে কন্ডিশন সম্পর্কে ধারণা বেশি তার। ব্যাটে-বলে ফর্মেও আছেন তিনি। ডানহাতি অফ স্পিনে যেমন, তেমনি ব্যাট হাতে বাঁ-হাতি এই ব্যাটার ঘুরিয়ে দিতে পারেন ম্যাচের মোড়। তিন স্পিনার নিয়ে খেলতে পারে ইংল্যান্ড। যার একজন লেগ স্পিনার আদিল রশিদ। একাদশে জায়গা পেলে স্পিন অলরাউন্ডার উইল জ্যাকের কাঁধে থাকবে গুরু দায়িত্ব।
মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের উইকেট হয় স্পিন সহায়ক। বল ধীরে আসে এবং নিচু হয়। তবে সর্বশেষ বিপিএলে মিরপুরে ভালো রান হয়েছে। কেমন উইকেটে খেলা হবে তা এখনও পরিষ্কার নয়। স্পোর্টিং উইকেট হলেও স্পিনাররা বাড়তি সুবিধা পাবেন এটা অনুমিত। দুপুর ১২টায় ম্যাচ হওয়ায় শিশিরের প্রভাব থাকবে কম। তবু টস জয়ী দল শুরুতে বোলিং করতে পারে।