দম ফেলার ফুসরত নেই বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের। বিশেষ করে যারা তিন ফরম্যাট খেলছেন। পাকিস্তান সিরিজ শেষ করে ভারতের মাটিতে টেস্ট ও টি-২০ খেলেছে বাংলাদেশ। পরেই ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট খেলে ধরতে হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিমান।
বুধবার বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টায় শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে খেলতে নামবে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান। জয় লক্ষ্য ধরে নামা ম্যাচে অভিজ্ঞতা বিবেচনায় এগিয়ে বাংলাদেশ দল। কিন্তু সাম্প্রতিক ফর্ম, দলের দারুণ পরিবেশ ও আমিরাতের কন্ডিশনে এগিয়ে থাকবে আফগারা।
বাংলাদেশ দলের জন্য বড় ধাক্কা হয়েছে এসেছে বাঁ-হাতি লেগ স্পিনার নাসুম আহমেদ ও পেসার নাহিদ রানার ভিসা না পাওয়া। প্রথমবার ওয়ানডে দলে ডাক পাওয়া নাহিদের অভাব অভিজ্ঞ পেসার তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলাম পূরণ করে দিতে পারবেন।
কিন্তু শারজাহর স্পিন সহায়ক উইকেটে নাসুমের অভাব ভোগাতে পারে দলকে। সাকিব আল হাসান না থাকায় দলের একমাত্র বাঁ-হাতি স্পিনার তিনি। স্পিন তীর্থে তাকে তাই দলের দরকার ছিল। নাসুম প্রথম ম্যাচে খেলতে না পারায় মেহেদী মিরাজ ও লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনকে নিতে হবে স্পিন আক্রমণ সামলানোর ভার।
অন্য দিকে আফগান শিবিরে আছেন তরুণ-অভিজ্ঞ মিলিয়ে দারুণ স্পিন আক্রমণ। মোহাম্মদ নবী ও রশিদ খানের সঙ্গে তরুণ লেগ স্পিনার নুর আলী ও অফ স্পিনার গাজনফার আছেন দলে। ব্যাটিংয়ের দারুণ ছন্দে আছে আফগানরা। রহমানুল্লাহ গুরবাজ রানে আছেন। ইমার্জিং এশিয়া কাপ মাতিয়ে এসেছেন সাদিকুল্লাহ আতাল। পেসার ফজল হক, ফরিদ মালিকের সঙ্গে দলে এসেছেন বিলাল সামি।
বাংলাদেশ সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছে গত মার্চে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওই সিরিজে অবশ্য জিতেছে বাংলাদেশ। তবে ৭ মাসের বেশি সময় পর মাঠে নামায় কিছুটা জড়তা নাজমুল শান্তর দলে থাকবে। অসুস্থতার কারণে লিটন দাস না থাকয় টপ অর্ডারের ব্যাটিং নিয়ে দুশ্চিন্তা থেকে যাচ্ছে দলের। শারজাহ’র উইকেটে সাকিবকে নিশ্চয় মিস করবে দল। সম্প্রতি আফগানরা আমিরাতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ওয়ানডে হারিয়েছে। সব মিলিয়ে কিছুটা এগিয়েই থাকবে স্বাগতিকরা।