অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র ১৮০ কোটি টাকার নতুন উদ্যোগ নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডির মাধ্যমে পাঁচ বছরে খরচ করা হবে এই অর্থ। ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে জানানো হয়, ১৮০ কোটি টাকার পাঁচ বছর মেয়াদী নতুন অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা প্রকল্প ‘সবাই মিলে শিখি’ দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাসকারী শিশুদের, বিশেষ করে প্রতিবন্ধী ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের শেখার সুযোগ বাড়াবে।
রোববার যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডির মিশন ডিরেক্টর ক্যাথরিন ডি. স্টিভেনস ‘সবাই মিলে শিখি’ উদ্বোধন করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহমেদ এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াতের সঙ্গে।
শ্রেণিকক্ষের শিক্ষাকে আরও বেশি অন্তর্ভুক্তিমূলক করার জন্য ইউএসএআইডির এ প্রকল্পের অধীনে শিক্ষকদের দক্ষতা উন্নয়নের প্রশিক্ষণ ও বিশেষায়িত শিক্ষা উপকরণ দেয়া হবে। যাতে করে তারা শ্রেণিকক্ষে থাকা যোগ্যতা ও দক্ষতার সকল স্তরের শিক্ষার্থীদের কাছে পাঠ্যসূচির শিখন ভালোভাবে পৌঁছে দিতে পারেন। নতুন এই প্রকল্পে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের প্রভাবিত করে এমন অনন্য কিছু চ্যালেঞ্জ দূর করার লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের মা-বাবা, এলাকাবাসী ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পক্ষে কাজ করে এমন সংস্থাগুলোকে সম্পৃক্ত করা হবে। এছাড়াও এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের প্রতি অপবাদমূলক ও অসম্মানজনক আচরণ কমাতে এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের আত্মপ্রত্যয়ী হিসেবে গড়ে তুলতে কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে যাতে করে তারা তাদের শিক্ষাকাল পূর্ণ করতে পারে।
ক্যাথরিন স্টিভেনস বলেন, প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষার মান উন্নত করা এবং কোনো শিশু যেন তার চাহিদা মোতাবেক শিক্ষা পাওয়া থেকে বঞ্চিত না হয় সেটা নিশ্চিত করা যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার। এই কারণেই আমরা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে এই নতুন প্রকল্প শুরু করেছি, যাতে করে সকল স্তরের শিশুদের কাছে শিক্ষা পৌঁছে দেয়ার আমাদের যৌথ লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হয়।
রিসার্চ ট্রায়াঙ্গেল ইন্সটিটিউট ইন্টারন্যাশনাল এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের নির্বাচিত উপজেলাগুলোতে প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করবে।