‘এই কোম্পানির গত চার বছর ধরে কার্যক্রম ছিল না এবং তাই এটিকে বন্ধ করা হয়েছে,’ ওই বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়। মাহিন্দ্রার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওই কোম্পানিটি বন্ধ করা হলেও বাংলাদেশে মাহিন্দ্রার চলমান ব্যবসায় কোনো পরিবর্তন আসবে না।
বাংলাদেশে মাহিন্দ্রার বিভিন্ন ধরনের গাড়ির ব্যবসার সঙ্গে জড়িত রয়েছে এ দেশের দুইটি ব্যবসায়ী গ্রুপ, সেগুলো হলো র্যাংগস গ্রুপ ও কর্ণফুলী গ্রুপ। র্যাংগস গ্রুপের দুটো প্রতিষ্ঠান—র্যাংগস মোটরস ও র্যানকন মোটরস মাহিন্দ্রার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান মূলত পরিবেশক হিসেবে বাংলাদেশে মাহিন্দ্রা গাড়ি বাজারজাত করে থাকে। এ ব্যবসায় কোনো পরিবর্তন আসছে না বলে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।
মাহিন্দ্রার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২০১৯ সালে তারা যৌথ মূলধনী কোম্পানি ও ফার্মগুলোর পরিদপ্তর বা আরজেএসসি থেকে তাদের নতুন কোম্পানির জন্য নিবন্ধন নিয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত তারা কাগজে–কলমে টিকে থাকা কোম্পানিটি গুটিয়ে নেওয়া বা বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
বাংলাদেশে মাহিন্দ্রার বিভিন্ন ধরনের গাড়ির ব্যবসা রয়েছে। এর মধ্যে মাহিন্দ্রার পিকআপসহ ফোর হুইলার গাড়ির ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত র্যাংগস মোটরস। আর তিন টন বা তার বেশি পণ্য ধারণক্ষমতার মাহিন্দ্রার বাণিজ্যিক গাড়ির ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে র্যানকন মোটরস। প্রতিষ্ঠানটি রাজশাহী ও রংপুরে মাহিন্দ্রার ট্রাক্টর বাজারজাত করে থাকে। দেশের অন্যান্য বিভাগে মাহিন্দ্রার ট্রাক্টর বাজারজাত করে কর্ণফুলী গ্রুপ।
জানতে চাইলে র্যানকন মোটরসের বিক্রয় বিভাগের প্রধান মঈনউদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘মাহিন্দ্রার সঙ্গে আমাদের ব্যবসা অব্যাহত রয়েছে। গতকাল বুধবারও প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে আমাদের গাড়ি আমদানিসংক্রান্ত ব্যবসায়িক বৈঠক হয়েছে। আমাদের সঙ্গে তাদের ব্যবসায় কোনো পরিবর্তন আসছে না।’
র্যানকন মোটরসের অধীন দেশে বছরে গড়ে মাহিন্দ্রার তৈরি ২০০ থেকে ২৫০ ট্রাক বিক্রি হয়। আর রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে বছরে ট্রাক্টর বিক্রি হয় প্রায় ৫০০ থেকে ৬০০টি।
মাহিন্দ্রার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে তাদের নির্মাণ ও কৃষি উপকরণের ব্যবসাও রয়েছে, যা দুই দশক ধরে পরিচালনা করা হচ্ছে ভারতীয় এ কোম্পানিটির একটি শাখা অফিসের মাধ্যমে। তবে বাংলাদেশে তাদের উপস্থিতি রয়েছে ১৯৯৪ সাল থেকে এবং দেশটিতে তাদের গ্রাহকের মোট সংখ্যা ৫০ হাজারের বেশি।
ওই বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ মাহিন্দ্রার জন্য একটি ‘কৌশলগত বাজার’, তাই কোম্পানিটি তাদের ব্যবসায়ী অংশীদারদেরকে সঙ্গে নিয়ে পরিবেশক ও সেবার পরিধি বাড়িয়ে চলবে।