অভিনন্দন বার্তায় পুতিন বলেন, ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবসে আমার উষ্ণ অভিনন্দন গ্রহণ করুন।’
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন অভিনন্দন বার্তায় বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক পারস্পরিক সম্মান ও ঐতিহাসিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। তিনি বিশ্বাস করেন, রাশিয়া ও বাংলাদেশের জনগণের পারস্পরিক স্বার্থ পূরণে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার হবে। এর মধ্য দিয়ে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা আরও দৃঢ় হবে।
প্রেসিডেন্ট পুতিন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও সাফল্য কামনা করেন এবং বাংলাদেশের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালে ২৬ মার্চ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে সামরিক অভিযান শুরুর পর সোভিয়েত ইউনিয়নই প্রথম প্রকাশ্যে সমালোচনা করে সরকারি বিবৃতি প্রকাশ করে। ২ এপ্রিল সোভিয়েত প্রেসিডেন্ট নিকোলাই পদগোর্নি স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে পূর্ব পাকিস্তানে রক্তপাত ও নিষ্পেষণ বন্ধের পাশাপাশি সংকটের রাজনৈতিক সমাধানের কথা বলা হয়। গোপনে রাষ্ট্রদূত অথবা তৃতীয় কোনো পক্ষের মাধ্যমে নয়, সোভিয়েত বার্তা সংস্থার মাধ্যমে পদগোর্নির বিবৃতিটি প্রকাশিত হয়, যার ফলে সোভিয়েত ইউনিয়ন বাংলাদেশ প্রশ্নে কার্যত একটি প্রকাশ্য অবস্থান গ্রহণ করে।