বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে জাতিসংঘ তার অবস্থান আগেই জানিয়ে দিয়েছে। নির্বাচন ঘনিয়ে আসার প্রেক্ষাপটে সংস্থাটির সেই অবস্থান অপরিবর্তিত আছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন সংস্থাটির মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক।
ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক স্টিফেন ডুজারিককে প্রশ্ন করেন, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও আন্তর্জাতিক অধিকার সংগঠনগুলোর প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের ক্ষমতাসীনেরা আগামী ৭ জানুয়ারি একটি একতরফা নির্বাচন করতে যাচ্ছে। এর আগে বিরোধীদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ভয়েস অব আমেরিকা জানিয়েছে, গত দুই সপ্তাহে হেফাজতে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এরপরও কি আপনি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের আহ্বান জানাবেন, নাকি গণতন্ত্রে ফিরে যেতে জাতিসংঘ মহাসচিব ব্যক্তিগত কোনো উদ্যোগ নেবেন?
জবাবে স্টিফেন ডুজারিক বলেন, ‘আমি আপনার প্রশ্নের জবাব আগেও দিয়েছি। এমনকি আপনার উত্তরের একটি অংশ নিজেই বলেছেন। তা হলো—আমরা (জাতিসংঘ) একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছি। এটা এমন একটি নির্বাচন হতে হবে, যেখানে মানুষ নির্ভয়ে ভোট দিতে পারবেন। স্পষ্টতই, নির্বাচনের পর আমাদের কিছু বলার থাকতে পারে। তবে নির্বাচন নিয়ে আমাদের অবস্থান অপরিবর্তিত আছে।’
বাংলাদেশে সাম্প্রতিক নাশকতার ঘটনা নিয়েও স্টিফেন ডুজারিকের কাছে প্রশ্ন করা হয়। জানতে চাওয়া হয়, বাংলাদেশে একের পর এক যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেওয়ায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে। ১৯ ডিসেম্বর ঢাকাগামী একটি এক্সপ্রেস ট্রেনের তিনটি বড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনায় এক নারী, তিন বছরের এক শিশুসহ চারজনের প্রাণ গেছে। নির্বাচনের আগে এমন রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনায় অগ্নিসংযোগের শিকার ভুক্তভোগীদের নিয়ে কি জাতিসংঘ উদ্বিগ্ন?
এ প্রশ্নের জবাবে স্টিফেন ডুজারিক বলেন, ‘ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রাণ হারানো সবার প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। আমি মনে করি, এসব ঘটনার পেছনে কারা জড়িত, যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে তা খুঁজে বের করা এবং দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনা বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব।’