‘বাংলাদেশের অস্থিরতায় স্বল্পমেয়াদী পোশাকের অর্ডার ভারতে চলে যাওয়ার শঙ্কা’

0
21
তৈরীপোশাক শিল্প
ভারতীয় রপ্তানিকারকরা বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে স্বল্পমেয়াদী পোশাকের অর্ডার ভারতে স্থানান্তরিত হতে পারে। তবে, ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী দেশের এই দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতিকে কাজে লাগানোর কোন ইচ্ছা বা প্রবণতা তাদের মধ্যে নেই বলে জানাছেন। খবর: ইকোনমিক টাইমস
 
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে লড়ে যাওয়া প্রবীণদের পরিবারের জন্য ৩০ শতাংশ চাকরি সংরক্ষণ করা নিয়ে বিতর্কিত কোটা পদ্ধতির বিরুদ্ধে ব্যাপক জনরোষের মধ্যে ৫ আগস্ট বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। এ বিক্ষোভে চার শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন।
 
অ্যাপারেল এক্সপোর্ট প্রমোশন কাউন্সিলের (এইপিসি) মহাসচিব মিথিলেশ্বর ঠাকুর বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি সব রপ্তানিকারকদের জন্য খুবই উদ্বেগের বিষয়।
 
তিনি বলেন, আমরা চাই পরিস্থিতি দ্রুত স্থিতিশীল হোক এবং স্বাভাবিক ব্যবসা আবার শুরু হোক। আমরা একটি বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী দেশ এবং বাংলাদেশে সংঘটিত সহিংস বিক্ষোভের দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার প্রতি সম্পূর্ণ সহানুভূতিশীল।
 
মিথিলেশ্বর আরও বলেন, ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী দেশের এই দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতিকে কাজে লাগানোর কোন ইচ্ছা বা প্রবণতা নেই। ভারতীয় পোশাক শিল্প তার যোগ্যতার ভিত্তিতে, নিজস্বভাবে আরএমজি রপ্তানি বাড়ানোর জন্য গুরুতর প্রচেষ্টা করছে৷ তবে, এটি খুব সম্ভবত যে স্বল্পমেয়াদী পোশাকের অর্ডারগুলি ভারতে স্থানান্তরিত হতে পারে এবং ভারতীয় পোশাক শিল্পকে এটি পূরণ করতে বলা হতে পারে৷
 
লুধিয়ানা-ভিত্তিক রপ্তানিকারক এস সি রালহান বলেছেন, প্রতিবেশী দেশের রাজনৈতিক সংকট সময়মত অর্থ প্রদানকে প্রভাবিত করবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পণ্য পরিবহন সহজ হবে।
 
রালহান আরও বলেন, বাংলাদেশে যেসব ভারতীয় প্রতিষ্ঠান রয়েছে তাদের প্রভাব পড়বে। সময়মত অর্থ প্রদানের উপর চাপ থাকবে।
 
বাংলাদেশ বিশ্বে গার্মেন্টস শিল্পে একটি প্রধান রপ্তানিকারক দেশ এবং ভারত থেকে তুলা আমদানি করে তারা।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.