যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে সম্মানজনক সংগীত পুরস্কার গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে মর্যাদাপূর্ণ এ আসরে মনোনয়ন পেয়েছে বাংলাদেশি দুই শিল্পী নাশিদ কামাল ও আরমীন মুসার গাওয়া গানের অ্যালবাম ‘শুরুয়াত, বার্কলে ইন্ডিয়ান অ্যাসেম্বল’। ৬৫তম গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডের সেরা গ্লোবাল মিউজিক অ্যালবাম বিভাগের জন্য মনোনীত তাদের ওই অ্যালবাম। গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডের ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে এই তথ্য।
আর এর মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রথম কোনও শিল্পীর গান গ্র্যামির মতো আয়োজনে মনোনীত হলো।
গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, এবারের ৬৫তম আসরের জন্য বিশ্বসেরা মিউজিক ক্যাটাগরিতে মনোনীত পাঁচ অ্যালবামের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে বার্কলে ইন্ডিয়ান অনসম্বলের ‘শুরুআত’।
আর এই অ্যালবামেই রয়েছে বাংলাদেশের খ্যাতনামা নজরুলসংগীতের শিল্পী নাশিদ কামালের লেখা ও তার মেয়ে আরমিন মুসার কণ্ঠে গাওয়া ‘জাগো পিয়া’ গানটি। আধা ধ্রুপদী ঢঙের এই গানের দৃশ্যায়নে বাঙালির রং ও সংস্কৃতি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। পোশাকে প্রখ্যাত বাংলাদেশি নকশাকার বিবি রাসেলের গামছা ব্যবহার করা হয়েছে।
বাংলা লোকগীতির কিংবদন্তি শিল্পী আব্বাসউদ্দীন আহমদের মেয়ে নাশিদ কামাল নিজেও কণ্ঠশিল্পী। একই সঙ্গে তিনি গান লেখেন এবং অধ্যাপনাও করেন। চার দশকেরও বেশি সময় ধরে সংগীতের সঙ্গে যুক্ত তিনি। তার মেয়ে আরমিন মুসা সংগীতে খ্যাতনামা বার্কলি কলেজ থেকে স্নাতক শেষ করেছেন। যিনি ‘ভ্রমর কইও’ দিয়ে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন।
বার্কলে ইন্ডিয়ান অনসম্বলের এই অভিষেক অ্যালবামে আরমিন মুসার পাশাপাশি কিংবদন্তি তবলাবাদক ওস্তাদ জাকির হোসেন, শ্রেয়া ঘোষাল, শঙ্কর মহাদেবন, বিজয় প্রকাশসহ এশিয়ান সংগীতজ্ঞদের গান রয়েছে।
গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডের ৬৫তম আসরে নিজেদের গাওয়া গানের অ্যালবাম জায়গা করে নেওয়ায় উচ্ছ্বসিত আরমীন। তিনি বললেন, এই গানে মায়ের ছোঁয়া ছিল। মায়ের ছোঁয়া ছিল বলেই হয়তো এমন একটা জায়গায় পৌঁছে গেছে গানটি। আমি খুবই খুশি, আনন্দিত। পুরো ব্যাপারটার আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়।’