বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে প্রার্থীদের পক্ষে নগরের বিভিন্ন এলাকায় শুভেচ্ছা ও দোয়া চেয়ে নির্মাণ করা তোরণ, টানানো ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টার আজ বুধবার দিবাগত রাত ১২টার মধ্যে সরানোর নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গতকাল মঙ্গলবার এ নির্দেশনা দিয়ে নগরে মাইকিং করে কমিশন।
নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হুমায়ন কবির বলেন, ‘কেউ নির্দেশনা অমান্য করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা ব্যক্ত করে টানানো ব্যক্তির ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টার অপসারণের বিষয় তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে।
আনুষ্ঠানিক গণসংযোগে খায়ের আবদুল্লাহ, সঙ্গে নেই স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা
বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস বলেন, রিটার্নিং কর্মকর্তার দেওয়া সময়ের পর সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হবে। কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সে বিষয়ে পরে জানানো হবে।
এর আগে গত ৩০ এপ্রিল আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহ ওরফে খোকন সেরনিয়াবাত তাঁর সৌজন্যে নির্মাণ করা তোরণ, টানানো ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টার অপসারণের অনুরোধ জানান। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি লেখেন, ‘২০ এপ্রিল আমার বরিশালে আগমন উপলক্ষে নগরের বিভিন্ন এলাকায় শুভেচ্ছা জানিয়ে তোরণ নির্মাণ ও ব্যানার-ফেস্টুন লাগানো হয়েছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের আইন অনুযায়ী, এসব তোরণ, ব্যানার-ফেস্টুন প্রদর্শন নির্বাচনী আচরণবিধিবহির্ভূত। সে জন্য যাঁরা এসব তোরণ, ব্যানার-ফেস্টুন লাগিয়েছেন, তাঁদের প্রতি বিনীত অনুরোধ করছি, আপনারা দ্রুত এসব অপসারণ করে নির্বাচনী আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবেন।’ তবে তাঁর পক্ষের এসব প্রচারসামগ্রী আজ বুধবার পর্যন্ত অপসারণ হয়নি।
ভোটের মাঠে ‘চমক’ দেখাতে ইসলামী আন্দোলনের বড় ‘শোডাউন’–এর প্রস্তুতি
বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে আগামী ১২ জুন। ১৬ মে মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। ১৮ মে মনোনয়ন বাছাই, ১৯ থেকে ২১ মে বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের, ২২ থেকে ২৪ মে আপিল নিষ্পত্তি, ২৫ মে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন এবং ২৬ মে প্রতীক বরাদ্দ করা হবে। এরপর শুরু হবে আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা। ১২ জুন ভোট গ্রহণ হবে। বরিশাল সিটিতে বর্তমান ভোটারের সংখ্যা ২ লাখ ৭৪ হাজার ৯৯৫।