
বয়স্ক ও বিধবা ভাতার মতো বিদ্যমান সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির বিভিন্ন ভাতার পরিমাণ দ্বিগুণ করা উচিত। পাশাপাশি বাড়তে থাকা শহুরে দরিদ্রদের জন্য নতুন কর্মসূচি গ্রহণের তাগিদ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে পথশিশুদের শুমারি করে পৃথক কর্মসূচির ঘোষণার সুপারিশ করা হয়।
আজ বুধবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে তিন দিনব্যাপী সামাজিক সুরক্ষাবিষয়ক জাতীয় সম্মেলন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের শেষ দিনে এসব পরামর্শ উঠে আসে। নতুন সামাজিক নিরাপত্তা কৌশলপত্রে অন্তর্ভুক্ত করতে বিবেচনা করতে হবে।
সমাপনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ। এতে সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব শেখ আবদুর রশিদ।
তিন দিনের আলোচনার বিষয়গুলো তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. খালেদ হাসান। তিনি বলেন, তিন দিনের আলোচনায় ২০১৫ সালে গ্রহণ করা জাতীয় নিরাপত্তা কৌশল পর্যালোচনা করা হয়েছে এবং আগামী বছর নতুন কৌশলপত্র কেমন হবে, তা তুলে ধরা হয়েছে।
ভবিষ্যতের কৌশলপত্র নিয়ে মো. খালেদ হাসান বলেন, ‘অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি বৈষম্য ব্যাপকভাবে বেড়েছে। গিনি সহগের হার প্রায় ৫০ শতাংশ। তাই আমাদের লক্ষ্য হবে বৈষম্য কমানো। এ জন্য জীবনচক্রভিত্তিক নিরাপত্তা কৌশল গ্রহণ করব। যেখানে শিশু থেকে বৃদ্ধ বয়স পর্যন্ত নিরাপত্তা থাকবে। যেখানে কর্মহীন নারী এবং শিশুদের বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে।’
মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেন, ‘শিশু থেকে বৃদ্ধদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। আমাদের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি, তবে আমরা যাত্রাপথেই রয়েছি। সামাজিক নিরাপত্তা কোনো দয়া নয়, এটা অধিকার। মানুষের অন্তর্ভুক্তিমূলক স্বাস্থ্য, শিক্ষা, খাদ্য ও মর্যাদা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব।’