বন্যার মধ্যেই জন্ম নেয়া ফুটফুটে শিশুকে উদ্ধার করলো র্যাবের হেলিকপ্টার। শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সকালে ফেনীতে একটি স্কুল ভবনের আশ্রয়কেন্দ্র থেকে মা ও শিশুকে উদ্ধার করে কুমিল্লা সেনানিবাসের হাসপাতালে নেয় র্যাব সদস্যরা। অন্য বাহিনীর মতো র্যাবের হেলিকপ্টার দিয়ে দিনভর চলেছে ত্রাণ ও উদ্ধার কার্যক্রম।
জানা যায়, ফেনীর পরশুরামে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত একটি স্কুলঘরে জন্ম নেয় ফুটফুটে শিশুটি। তারপরও পরিবারে নেই উচ্ছ্বাস আনন্দ। কারণ চারদিকে থৈ থৈ পানি। খবর পেয়ে হেলিকপ্টার নিয়ে নবজাতকসহ অসুস্থ মাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা সিএমএইচে ভর্তি করে র্যাব। শুক্রবার এরকম ২ নবজাতককে উদ্ধার করেছে র্যাব।
পানিবন্দিদের উদ্ধারের পাশাপাশি দিনভর চলে ত্রাণ কার্যক্রম। ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লার বিভিন্ন জায়গায় শতশত প্যাকেট শুকনো খাবার, ওষুধ, স্যালাইন ফেল হয় হেলিকপ্টার থেকে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় একটা হেলিকপ্টারের দেখা পেলে ছাদে ছুটে যায় শতশত মানুষ। উদ্ধার ও ত্রাণের প্রত্যাশায় উড়ায় লাল কাপড়।
বিয়টি নিয়ে র্যাবের এয়ার উইংয়ের উপ-পরিচালক মেজর কেএম সবুর কাওনাইন বলেন, আমরা হেলিকপ্টারের মাধ্যমে যতটুকু সম্ভব মানুষ সহযোগিতা করা যায় সেটাই চেষ্টা করেছি। এছাড়াও গুরুতর কোনো অসুস্থ ব্যক্তির খবর পেলে তাকে হাসপাতালে নেয়ার চেষ্টা করেছি।
আকাশে বন্যার ভয়াবহ চিত্র ভেসে ওঠে সবচেয়ে বেশি। কোনটি আবাসিক এলাকা, কোনটা নদী বা খাল বোঝার উপায় নেই। তাই হেলিকপ্টার দিয়ে কাউকে উদ্ধার করাও বেশ কষ্টসাধ্য।
এ বিষয়ে র্যাব কর্মকর্তা সবুর কাওনাইন বলেন, হেলিকপ্টার নামানোর মতো কোথাও জায়গা নেই। সেজন্য আকাশ থেকে উড্ডয়নরত অবস্থায় যতটুকু সম্ভব ত্রাণ পৌঁছানোর ব্যবস্থা করছে র্যাব।
দিনভর র্যাবের দুটি হেলিকপ্টারে ত্রাণ কার্যক্রমণ চালানো হয়। বন্যা ও পুনর্বাসন কার্যক্রমে বাহিনীর পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে বলে জানান কর্মকর্তারা।