দেশের ১১ জেলায় চলমান বন্যায় এখন পর্যন্ত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। মারা যাওয়াদের মধ্যে কুমিল্লায় ৪, কক্সবাজারে ৩, চট্টগ্রামে ৫, নোয়াখালীতে ৩ এবং ফেনী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও লক্ষ্মীপুরে মারা গেছেন একজন করে।
শনিবার দুপুরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।
কর্মকর্তারা জানান, এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ৫২৭টি আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছে ২ লাখ ৮৪ হাজার ৮৮৮ জন মানুষ। দুর্গত ১১ জেলায় এ পর্যন্ত ৩ কোটি ৫২ লাখ টাকার সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
২০ আগস্ট থেকে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়ে ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি, সিলেট, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে প্লাবিত হয়েছে ৭৭ উপজেলা। ক্ষতিগ্রস্ত ৫৮৭ ইউনিয়ন/পৌরসভা। ১১ জেলায় মোট পানিবন্দি ৯ লাখ ৪৪ হাজার ৫৪৮ জন। ক্ষতিগ্রস্ত লোকের সংখ্যা ৪৯ লাখ ৩৮ হাজার ১৫৯ জন। ফেনীতে বন্যার্তদের চিকিৎসার জন্য একটি ফিল্ড হাসপাতাল করা হয়েছে। এছাড়া ১১ জেলার ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসা প্রদানের জন্য ৭৭০টি মেডিকেল টিম কাজ করছে।
বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে ভয়াবহ হয়ে উঠছে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি। আকস্মিক বন্যায় ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট তলিয়ে বিপাকে পড়েছেন তারা। অনেকেই ঘর থেকে কিছু বের করতে না পেরে খালি হাতে ছুটে এসেছেন আশ্রয়কেন্দ্রে।