ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে বন বিভাগের চাকরিপ্রার্থী নারীদের বুকের মাপ জানতে চাওয়া হয়েছে। চাকরির বিজ্ঞপ্তিতে এটি উল্লেখ করার পরে বিভিন্ন মহলে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। নারীরা বুকের মাপের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে একে ‘মর্যাদা ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা’ বলে অভিহিত করেছেন। খবর- টাইমস অব ইন্ডিয়া
আগামী ১২ জুলাই ফরেস্ট রেঞ্জার, ডেপুটি ফরেস্ট রেঞ্জার ও ফরেস্টার পদে চাকরির পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। গত শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এসব পদে চাকরিতে নারী প্রার্থীদের স্বাভাবিক বুকের মাপ কমপক্ষে ৭৪ সেন্টিমিটার ও প্রসারিত বুকের মাপ (দম নিয়ে ফোলানোর পর) ৭৯ সেন্টিমিটার হতে হবে।
এই সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রার্থীরা। তারা বলছেন, ফুসফুসের ক্ষমতা পরীক্ষা করতে চাইলে সেটি ভিন্ন বিষয়। কিন্তু এটি কেন? রাজ্য পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগের ক্ষেত্রেও এই পরিমাপের কোনো বাধ্যবাধকতা ছিল না।
এ বিষয়ে কমিশনের চেয়ারপারসন ভোপাল সিং খাদরি বলেন, বুক পরিমাপের ক্ষেত্রে নারী চিকিৎসক ও প্রশিক্ষকরা কাজটি করবেন।
২০১৭ সালে মধ্যপ্রদেশে নারী চাকরিপ্রার্থীর বুকের মাপ বিষয়ে এমন একটি আদেশ এসেছিল। প্রতিবাদের মুখে প্রত্যাহার তা করতে হয়েছিল। কর্ণাটক, ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গসহ কিছু রাজ্যে বুকের মাপ নেওয়ার এই নিয়ম রয়েছে। তা নিয়ে বিতর্কও রয়েছে।