ভারতকে হারিয়ে এশীয়া কাপ জয়ে বাংলাদেশ যুব দল নিয়ে বেড়েছিল প্রত্যাশা। তবে সেই প্রত্যাশা পূরণে ধাক্কা খেল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। যুব বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে হারিয়ে পাল্টা প্রতিশোধ নিল ভারত। তাতে ৮৪ রানের হার দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু হল বাংলাদেশের। আগে ব্যাট করে বাংলাদেশকে ২৫২ রানের লক্ষ্য দেয় ভারতের যুবারা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪৫.৫ ওভারে ১৬৭ রান করে অলআউট হয় বাংলাদেশ।
২৫২ রানের লক্ষ্যে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিলেন দুই বাংলাদেশি ওপেনার। প্রথম ৬ ওভারে কোনও বিপদ ছাড়াই পার করেন শিবলি-জিসান জুটি। ৭ম ওভারে ১৪ রান করা জিসানকে ফেরান রাজ লিম্বানি। এরপরই তাসের ঘরের মত ভেঙ্গে পড়ে বাংলাদেশের টপ অর্ডার। ১২ রানের মাঝেই পড়ে আরও তিন উইকেট। ৫০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে রীতিমত ধুঁকছিল বাংলাদেশ।
এরপর আরিফুল ইসলাম ও শিহাব জেমস মিলে শুরুর ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে দলীয় ১২৭ রানে ব্যক্তিগত ৪১ রান করে মুশির খানের শিকার হন আরিফুল। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। ফিফটি তুলে নিয়ে ৭৭ বলে ৫৪ রান করে ফিরে যান শিহাব। শেষ পর্যন্ত ৪৫.৫ ওভারে ১৬৭ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশের যুবারা। ভারতের পক্ষে সাওমি পান্ডে নেন ৪টি উইকেট।
এর আগে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান রাব্বি। ভারতের দুই ওপেনার আরশিন কুলকার্নি ও আদর্শ সিং সাবধানী ব্যাটিং করতে থাকেন। তবে তাদের জুটি বড় হতে দেননি মারুফ। বাঁহাতি এই পেসারের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন আরশিন। তিনি আউট হয়েছেন ৭ রানে। দলীয় ৩১ রানে মুশির খানকেও ৩ রানে ফেরান এই বাঁহাতি পেসার।
এরপর তৃতীয় উইকেটে প্রতিরোধ গড়ে দাঁড়ান আদর্শ সিং ও অধিনায়ক উদয় সাহারান। ১১৬ রানের জুটি গড়েন তারা। আদর্শ ৯৬ বলে ৭৬ ও উদয় ৯৪ বলে ৬৪ রান করে ফেরেন সাজঘরে। শেষদিকে ভারতের কেউই আর বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। তবে আরাভেলি অবিনাশের ১৭ বলে ২৩ ও শচীন দাসের ২০ বলে ২৬ রানের অপরাজিত ইনিংসে লড়াকু সংগ্রহ পায় ভারত।
শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ভারতের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৫১ রান। বাংলাদেশের পক্ষে পেসার মারুফ মৃধা একাই শিকার করেন পাঁচটি উইকেট। একটি করে উইকেট পান চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান ও অধিনায়ক রাব্বি।