মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখান উপজেলায় বজ্রপাতে দুই বন্ধুর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের দক্ষিণ কুসুমপুর লেবুতলায় এ ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট ও পিরোজপুরের স্বরূপকাঠিতে বজ্রপাতে একজন করে মারা গেছেন।
সিরাজদীখানে মৃত দু’জন হলেন– লৌহজং উপজেলার কনকসা বাজারের বটতলা এলাকার জুম্মন সরদার (৪৫) ও কাউসার (৪৬)। জুম্মন পেশায় অটোরিকশাচালক এবং কাউসার মাছ ব্যবসায়ী।
এলাকাবাসীর বরাতে ইছাপুরা ইউপির ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সৈয়দ আহসান কবির জানান, দুপুরে বৃষ্টি শুরু হলে অটোরিকশা থামিয়ে দক্ষিণ কুসুমপুর লেবুতলা এলাকায় একটি লাকড়ি রাখার ঘরে আশ্রয় নেন জুম্মন ও কাউসার। এ সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তাঁদের মৃত্যু হয়। পরে সেখানে মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন এলাকাবাসী।
সিরাজদীখান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আজগর হোসেন জানান, স্বজনদের কাছে দু’জনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার কায়েমপুর ইউপির চেয়ারম্যান জিয়াউল আলম ঝুনু জানান, চর আঙ্গারু এলাকার মাঠে কয়েকজন শ্রমিকের সঙ্গে ধান কাটছিলেন সুলতান প্রামাণিক (৬০)। সকাল ১০টার দিকে বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়। চর আঙ্গারু গ্রামের মৃত ফয়জাল প্রামাণিকের ছেলে সুলতান।
এদিকে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলায় পাখি শিকার করতে গিয়ে বজ্রপাতে নয়ন মিয়া (১৩) নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার উপজেলার জুগলি ইউনিয়নের রান্ধুনিকুড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নয়ন ওই এলাকার কালাম মিয়ার নাতি। সে নানাবাড়িতে থাকত। নয়নের বাবার নাম রাসেল মিয়া।
ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন বলেন, বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে ফাঁদ নিয়ে পাখি শিকার করতে যায় নয়ন। এ সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। নয়নের কোমরের নিচের অংশ পুড়ে গেছে।
পিরোজপুরের স্বরূপকাঠিতে বজ্রপাতে আব্দুল আলিম শেখ (৩৫) নামে এক জেলের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার উপজেলার ব্যাসকাঠি এলাকায় সন্ধ্যা নদীতে এ ঘটনা ঘটে। আলিম ওই এলাকার মোজাহার শেখের ছেলে।
গুয়ারেখা ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আসাদুজ্জামান খোকন জানান, আব্দুল আলিম সন্ধ্যা নদীতে মাছ ধরতে যান। দুপুরে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। পথে বজ্রপাতে আহত হন। তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ফিরোজ কিবরিয়া বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই আব্দুল আলিমের মৃত্যু হয়েছে।