বছরের শেষ সংবাদ সম্মেলনে আসছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বৃহস্পতিবারের সংবাদ সম্মেলনে তিনি নানা প্রশ্নের জবাব দেবেন এবং তাঁর ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নিয়ে আভাস দেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইউক্রেন যুদ্ধের তিন বছর হতে চলেছে। এর মধ্যে দুদিন আগে মস্কোয় গুপ্তহত্যার শিকার হয়েছেন রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইগর কিরিলভ। ইউক্রেন ওই হত্যার দায় স্বীকার করেছে। এবারের সংবাদ সম্মেলনে স্বাভাবিকভাবেই এই দুটি বিষয় গুরুত্ব পাবে।
পুতিনের বছর শেষের এই সংবাদ সম্মেলন সাধারণত প্রশ্ন-উত্তর পর্ব কয়েক ঘণ্টা ধরে চলে। টেলিভিশনে অনুষ্ঠান দেখানো হয়। পুতিন সংবাদ সম্মেলনে সশরীর খুব একটা উপস্থিত থাকেন না। তবে বাৎসরিক এ সংবাদ সম্মেলনে তিনি সশরীর উপস্থিত থাকবেন এবং কিছু অস্বস্তিকর প্রশ্নেরও উত্তর দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
গত কয়েক সপ্তাহে ইউক্রেন যুদ্ধে উত্তেজনা ও সংঘাত বেড়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প শপথ গ্রহণের আগেই উভয় পক্ষ যুদ্ধে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। আগামী ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন ট্রাম্প। তিনি ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলেছেন।
পুতিন বৃহস্পতিবারের সংবাদ সম্মেলনে রাশিয়ার অর্থনীতি নিয়েও কথা বলবেন। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে আক্রমণ করে রাশিয়া। তার পর থেকে এ যুদ্ধ চলছে। যুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিক নানা নিষেধাজ্ঞা, সঙ্গে যুদ্ধের ব্যয়ভার বহন করতে গিয়ে রাশিয়ার অর্থনীতি দুর্বল হয়ে পড়েছে। দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।
গত মঙ্গলবার মস্কোর একটি অ্যাপার্টমেন্ট ব্লক থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় রুশ জেনারেল ইগর কিরিলভকে নিশানা করে বোমা হামলা চালানো হয়। একটি বৈদ্যুতিক স্কুটারে লুকিয়ে রাখা ওই বোমার বিস্ফোরণে ইগর কিরিলভ ও তাঁর সহকারী ইলিয়া পোলিকারপভ নিহত হন।
ইগর কিরিলভ রাশিয়ার ‘নিউক্লিয়ার, বায়োলজিক্যাল অ্যান্ড কেমিক্যাল প্রটেকশন ট্রুপস’ নামে একটি বাহিনীর প্রধান ছিলেন।
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়ার ভূখণ্ডে ইউক্রেনের হামলায় এর আগে এত উচ্চপর্যায়ের কোনো সামরিক কর্মকর্তা প্রাণ হারাননি।
পুতিন এখনো এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
এএফপি, মস্কো