দোয়েল চত্বর থেকে মিছিল নিয়ে নগর ভবন যাওয়ার পথে বঙ্গবাজার মোড়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়েছেন ঢাকার সাত মসজিদ সড়ক গাছ রক্ষা আন্দোলনের কর্মীরা। তারা সড়কের এক পাশে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিচ্ছেন।
রোববার সকাল ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বর থেকে মিছিল নিয়ে নগর ভবন ঘেরাও করতে যান আন্দোলনকারীরা। কিন্তু বঙ্গবাজার মোড়ে ব্যারিকেড দিয়ে তাদের আটকে দেয় পুলিশ। পরে সেখানে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের বাকবিতণ্ডা চলে।
সাত মসজিদ সড়ক গাছ রক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক আমিরুল রাজিব জানান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র এসে কথা না বলা পর্যন্ত রাস্তা থেকে তাঁরা সরবেন।
শনিবার বিকেলে ধানমন্ডি আবাহনী মাঠের সামনের চত্বরে ‘গাছের জন্য নগর ভবন ঘেরাও’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গাছ রক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়কারী আমিরুল রাজিব।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন বাংলাদেশের (বাপা) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শারমিন মুরশিদ, বেলার প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সহসভাপতি জামসেদ আনোয়ার তপন, সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফ নূর, যুব ইউনিয়নের সভাপতি খান আসাদুজ্জামান মাসুম, রিকশা-ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা লিটন নন্দী, আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ছাত্রনেতা আদৃতা রায়। সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন গ্রিন ভয়েসের সমন্বয়ক আলমগীর কবির। সংবাদ সম্মেলনে ৪ দফা দাবি জানানো হয়।
দাবিগুলো হলো– ধানমন্ডি সাতমসজিদ সড়কসহ ঢাকার পাবলিক পরিসরে উন্নয়নের নামে যখন-তখন গাছ কাটা বন্ধ করতে হবে। কাটা গাছের স্থানে বৈচিত্র্যময় দেশীয় প্রজাতির গাছের চারা লাগাতে হবে। জনগণের করের টাকায় লাগানো গাছ কেটে নতুন প্রকল্প গ্রহণের নামে বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে এবং নগর উন্নয়নে প্রকৃতিভিত্তিক পরিকল্পনাকে গুরুত্ব দিয়ে বৃক্ষ ও নগরবান্ধব নীতিমালা গ্রহণ করতে হবে।